শ্রম আইনগুলির ঐতিহাসিক সংস্কার: ভারতের কর্মীদের জন্য আরও উন্নত সুবিধা নিশ্চিত করবে সরকার

নয়া দিল্লি, ২১ নভেম্বর:শুক্রবার, সরকার একটি ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে, যার মাধ্যমে চারটি প্রধান শ্রম কোড কার্যকর করা হয়েছে। এই কোডগুলোর লক্ষ্য হলো শ্রম আইনগুলো সরলীকরণ ও সমন্বয় করে কর্মীদের জন্য উন্নত মজুরি, নিরাপত্তা, সামাজিক সুরক্ষা এবং উন্নত কল্যাণ নিশ্চিত করা।

এই চারটি শ্রম কোড হলো: কোড অন মজুরি, 2019, ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিলেশনস কোড, 2020, কোড অন সোশ্যাল সিকিউরিটি, 2020 এবং পেশাগত নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য এবং কাজের শর্তাবলী কোড, 2020. ২১ নভেম্বর ২০২৫ থেকে কার্যকর হয়েছে এই কোডগুলোর মাধ্যমে ২৯টি বিদ্যমান শ্রম আইন একীভূত করা হয়েছে।

সরকারের এই উদ্যোগ প্রাচীন উপনিবেশিক কাঠামো থেকে মুক্তি পেতে এবং আধুনিক বৈশ্বিক প্রবণতার সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় রাখতে সাহায্য করবে।

নিয়োগপত্র বাধ্যতামূলক: সমস্ত শ্রমিকের জন্য নিয়োগপত্র প্রদান বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, যা স্বচ্ছতা, চাকরির নিরাপত্তা এবং স্থায়ী কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা দেবে। আগে এটি বাধ্যতামূলক ছিল না। সামাজিক সুরক্ষা: সামাজিক নিরাপত্তা সংক্রান্ত কোড, 2020 অনুযায়ী, সব ধরনের কর্ম-সহ গিগ ও প্ল্যাটফ কর্পোরেশন—সামাজিক ব্যবস্থায় অন্তর্ভুক্ত হবে। পিএফ, ইএসআইসি, বিমা ও অন্যান্য সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে। আগে সীমিত সুবিধা ছিল। ন্যূনতম মজুরি: মজুরি সংক্রান্ত কোড, 2019 অনুযায়ী, সব প্রদানের জন্য নূনতম মজুরি এবং সময় অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে৷ আগে এটি শুধুমাত্র একটি অংশ বা প্রচার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ছিল।

স্বাস্থ্য পরীক্ষা: ৪০ বছরের বেশি বয়সী কর্মীদের জন্য বার্ষিক বিনামূল্যের স্বাস্থ্য পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আগে এর কোনো আইনগত বাধ্যবাধকতা ছিল না।
*সময়মতো মজুরি প্রদান: শ্রমিকদের আর্থিক স্থিতিশীলতা ও মানসিক চাপ কমানোর জন্য নিয়মিত মজুরি প্রদানের বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে।
নারী কর্মীদের অধিকার: নারী শ্রমিকেরা এখন রাতের শিফটসহ সমস্ত ধরণের কাজে অংশগ্রহণ করতে পারবেন, তাদের সম্মতি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত থাকলে। উচ্চ বেতনের চাকরির ক্ষেত্রে সমান সুযোগ থাকবে। আগে কিছু কাজ ও রাতের শিফটে নারীর চাকরি সীমিত ছিল।

ইএসআইসি সুবিধা সম্প্রসারণ: এখন ইএসআইসি সুবিধা সারা দেশে সম্প্রসারিত হবে—১০-এর কম কর্মচারী থাকলেও স্বেচ্ছাসেবীভাবে, এবং বিপজ্জনক কাজের ক্ষেত্রে একজন কর্মীর ক্ষেত্রেও বাধ্যতামূলক। আগে সীমিত শিল্প ও এলাকায় এটি প্রযোজ্য ছিল।
সুবিধাজনক একক প্রক্রিয়া: একক নিবন্ধন, প্যান-ইন্ডিয়া একক লাইসেন্স এবং একক রিটার্ন সুবিধার মাধ্যমে শ্রমিকদের জন্য প্রশাসনিক জটিলতা কমানো হয়েছে।

এই সংস্কার শুধুমাত্র সাধারণ পরিবর্তন নয়, এটি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পক্ষ থেকে কর্মীদের কল্যাণের জন্য নেওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। নতুন শ্রম সংস্কারগুলো স্বনির্ভর ভারতের লক্ষ্যে নতুন গতি দেবে এবং ২০৪৭ সালে উন্নত ভারতের দিকে পদক্ষেপকে ত্বরান্বিত করবে।