ডিএনএ ক্লাব প্রকল্পে ত্রিপুরার ৫০টি স্কুলকে আর্থিক অনুদান প্রদান

আগরতলা, ২০ নভেম্বর: ত্রিপুরা বায়োটেকনোলজি কাউন্সিলের উদ্যোগে রাজ্যের স্কুলগুলোর মধ্যে বিজ্ঞানভিত্তিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও গবেষণাকে উৎসাহিত করতে ডিএনএ ক্লাব প্রকল্পের অধীনে আর্থিক অনুদান ও কারিগরি সহায়তা প্রদান অব্যাহত রয়েছে। এ পর্যন্ত রাজ্যের মোট ২২২টি স্কুল এই প্রকল্পের সহায়তা পেয়েছে।

২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে নতুন করে রাজ্যের আরও ৫০টি স্কুলকে ল্যাবরেটরি সরঞ্জাম ক্রয় এবং জীববিজ্ঞানভিত্তিক হাতে-কলমে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আর্থিক অনুদান ও কারিগরি সহায়তা দেওয়া হয়েছে।

ডিএনএ ক্লাব প্রকল্পকে আরও জনপ্রিয় করতে সহায়তাপ্রাপ্ত স্কুলগুলোকে বছরভিত্তিক অনুদান প্রদান করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই ধারাবাহিক উদ্যোগের অংশ হিসেবে ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে অন্তর্ভুক্ত ৫০টি স্কুলকে দ্বিতীয় বছরের জন্য ২৫ হাজার টাকা করে মোট ১২ লাখ ৫০ হাজার টাকার আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।

আজ আগরতলাস্থিত সুকান্ত একাডেমির কনফারেন্স হলে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও পরিবেশ দপ্তরের মন্ত্রী শ্রী অনিমেষ দেববর্মার উপস্থিতিতে এই অনুদান প্রদান করা হয়। একই সঙ্গে এই ৫০টি স্কুলের দ্বিতীয় বর্ষের বিজ্ঞানভিত্তিক ২০টি নতুন কাজের জন্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী অনিমেষ দেববর্মা ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে জৈব প্রযুক্তি বিষয়ে কৌতূহল ও গবেষণামুখী মনোভাব গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বিজ্ঞানচেতনা ধারণ করে নতুন দিগন্ত উন্মোচনে সক্ষম হবে। ত্রিপুরা বায়োটেকনোলজি কাউন্সিলের এই উদ্যোগকে তিনি বিশেষভাবে প্রশংসা করেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও পরিবেশ দপ্তরের সচিব চৈতন্য মূর্তি, ত্রিপুরা বায়োটেকনোলজি কাউন্সিলের সদস্য-সচিব মহেন্দ্র সিং, যুগ্ম সদস্য-সচিব ও ডিরেক্টরেট অফ বায়োটেকনোলজির যুগ্ম অধিকর্তা শ্রী অমন সেনগুপ্তসহ কাউন্সিলের অন্যান্য কর্মকর্তারা। প্রথম বছরের কাজের অগ্রগতি মূল্যায়নের ভিত্তিতে ২৮ জন শিক্ষক-শিক্ষিকাকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। একই সঙ্গে ৫০টি স্কুলের ১০০ জন ছাত্র-ছাত্রীকে বেস্ট পারফর্মিং স্টুডেন্ট হিসেবে নির্বাচন করা হয়। অনুষ্ঠানে ডিএনএ ক্লাবের অগ্রগতি ও মূল্যায়নভিত্তিক তথ্যসংবলিত একটি বইয়ের মলাট উন্মোচনও করা হয়।

মোট প্রায় ৩০০ জন শিক্ষক, প্রধান শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। সম্মানপ্রাপ্ত শিক্ষক-শিক্ষিকারা জানান, ডিএনএ ক্লাব প্রকল্পের ফলে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে নতুনভাবে বিজ্ঞানকে জানার কৌতূহল বৃদ্ধি পেয়েছে, যা প্রকল্পটির অন্যতম সাফল্য।