আগরতলা, ১৭ নভেম্বর : ধর্ষন মামলায় অভিযুক্ত আসামিকে ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিলেন আদালত। গত ১৫ নভেম্বর শনিবার খোয়াই এর পকসো আদালতের বিচারপতি এক নাবালিকা মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে পকসো ধারায় এক যুবককে ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করলেন। যা পক্সো আইনে এক বিরল ঘটনা।
এই ঘটনার বিবরণ দিয়ে সরকার পক্ষের আইনজীবী অজিত সরকার জানান খোয়াই রামচন্দ্রঘাট এলাকার ইন্দিরা কলোনির বাসিন্দা ২৬ বছরের যুবক সমীরণ কুড়ি নিজ গ্রামেরই এক নাবালিকা মেয়ের সাথে প্রেম করার অজুহাতে তার মতের বিরুদ্ধে গিয়ে গত ১৫ এবং ১৯শে জুলাই ২০১৯ সালে মেয়েটিকে দুই দুইবার ধর্ষণ করে।
সেই অভিযোগের ভিত্তিতে নাবালিকা মেয়ের পিতা বাতাপুড়া এলাকার বাসিন্দা হারাধন সরকার অভিযুক্ত সমীরণ কুরীর বিরুদ্ধে খোয়াই থানা ১৫ই জুলাই ২০১৯ শে একটি মামলা করেন । যার কেইস নং ছিল ৭৪/ ২০১৯। এই মামলার ধারাগুলি ছিল ৩৬৬(এ)৩৬৭/৬ অফ পক্সো এক্টে। এই মামলা হাতে পেয়ে তৎকালীন খোয়াই থানার তদন্তকারী অফিসার কমলামুড়া সিং তদন্ত নামেন এবং আসামি সমীরণ কুড়িকে গ্রেফতার করে আদালতে তুলেন। আদালতে তোলার পর শেষে ৬ মাস আদালতে মামলা চলতে থাকে।
এরপর তদন্তকারী অফিসার কমলা মুড়া সিং ৩১শে জানুয়ারি ২০২০ সালে আদালতে ওনার চার্জশিট পেশ করেন। এইভাবে দীর্ঘ ছয় বছর অতিক্রান্তের পর একের পর এক সাক্ষ্য গ্রহণ চলতে থাকে। তাতে ১৭ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছিল আদালতে। সেই সাক্ষীদের সাক্ষ্য দানের উপর নির্ভর করে স্পেশাল পক্সো আদালতের মাননীয় বিচারপতি ভেদ প্রতিম দেববর্মা নিশ্চিত হন অভিযুক্ত সমীরণ কুরি দোষী। শেষে গত ১৫ই নভেম্বর শনিবার ২০২৫ ইং তারিখে বিচারপতি সমিরন কুড়িকে দোষী সাব্যস্ত করে ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করে জেল হাজতে পাঠিয়ে দেন। পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন এবং অনাদায়ে আরো ৫ মাসের জেলের নির্দেশ দেন বলে জানেন সরকারের পক্ষের আইনজীবী অজিত সরকার।

