দিল্লি বিস্ফোরণ: কাশ্মীরে উমর মোহাম্মদের বাড়ি গুঁড়িয়ে দিল নিরাপত্তা বাহিনী

নয়াদিল্লি, ১৪ নভেম্বর: দিল্লির লালকেল্লার কাছে গাড়ি বিস্ফোরণ ঘটানো ড. উমর মোহাম্মদের কাশ্মীরের পুলওয়ামায় অবস্থিত বাড়িটি নিরাপত্তা বাহিনী ভোররাতে একটি বিশেষ অভিযানের মাধ্যমে ধ্বংস করে দিয়েছে।

নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণ ব্যবহার করে বাড়িটি ভেঙে ফেলা হয়। লালকেল্লা বিস্ফোরণ মামলার পর দেশজুড়ে চরম সতর্কতা জারি থাকায় এবং সংশ্লিষ্ট জঙ্গি মডিউলের বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযানের অংশ হিসেবেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

১০ নভেম্বরের ওই বিস্ফোরণে ১২ জন নিহত এবং বহু মানুষ আহত হন। তদন্তে জানা যায়, ফারিদাবাদের আল-ফলাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাক্তার উমর মোহাম্মদই বিস্ফোরিত হওয়া হুন্ডাই i20 গাড়িটি চালাচ্ছিলেন। বিস্ফোরণস্থল থেকে উদ্ধার ডিএনএ নমুনা তাঁর মায়ের ডিএনএর সঙ্গে মিলে যাওয়ায় তার উপস্থিতি নিশ্চিত হয়। নতুন সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, বিস্ফোরণের প্রায় পাঁচ ঘণ্টা আগে কনট প্লেসের আউটার সার্কেলে i20 গাড়ি চালাচ্ছেন উমর। এরপর তিনি ময়ূর বিহার হয়ে লালকেল্লার দিকে রওনা হন।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উমরকে দুপুর ২টার একটু পরে সিপি এলাকায় বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি চালাতে দেখা যায়। তদন্তকারী সংস্থাগুলি বৃহস্পতিবার আরও একটি নিখোঁজ গাড়ি একটি মারুতি ব্রেজা উদ্ধার করে। কেন মডিউলটি নানা গাড়ি ব্যবহার করছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিস্ফোরিত হয় i20, আর উমরের আরেকটি গাড়ি একটি ইকোস্পোর্ট ফারিদাবাদ থেকে উদ্ধার হয়।

সূত্রের দাবি, মডিউলটি ধারাবাহিকভাবে একাধিক কার-বম্বিংয়ের পরিকল্পনা করছিল, কিন্তু তাদের ষড়যন্ত্র বিস্ফোরণের পরেই ফাঁস হয়ে যায়। ১০ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টা ৫২ মিনিটে লালকেল্লার কাছে ওই শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটে। ভারতের অন্যতম ঐতিহাসিক স্থাপনার এত কাছে বিস্ফোরণ হওয়ায় সুরক্ষা বলয়ে বড়সড় ফাঁক তৈরি হয়েছে বলে উদ্বেগ বাড়ে।

ঘটনার পর জাতীয় তদন্ত সংস্থা আনুষ্ঠানিকভাবে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল থেকে তদন্ত নেয়। এলাকা ঘিরে রেখে বিস্ফোরকাংশ, গাড়ির টুকরো, ডিজিটাল প্রমাণসহ বিভিন্ন ফরেনসিক বিশ্লেষণ শুরু করে। বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা এই ঘটনাকে “অতি জঘন্য সন্ত্রাসী আক্রমণ” বলে উল্লেখ করে। দুই মিনিট নীরবতা পালন করে এবং “দোষীদের দ্রুত চিহ্নিত করে শাস্তি” দিতে নির্দেশ দেয়। কাশ্মীরে উমরের বাড়ি ধ্বংস করার মাধ্যমে সন্ত্রাসে জড়িতদের প্রতি কঠোর বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করছে প্রশাসন। আগেও পাহালগাম সন্ত্রাস মামলার অভিযুক্তদের ক্ষেত্রেও এমন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল।