বন্দে মাতরম’ জাতীয় ঐক্যের শাশ্বত প্রতীক: রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু

নয়াদিল্লি, ৭ নভেম্বর: ভারতের জাতীয় গান বন্দে মাতরম-এর ১৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে শুক্রবার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু গানটিকে দেশের ঐক্য ও দেশপ্রেমের এক শাশ্বত প্রতীক বলে বর্ণনা করেন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স -এ এক বার্তায় রাষ্ট্রপতি লিখেছেন, ঊনবিংশ শতকে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে সন্ন্যাসী বিদ্রোহের প্রেক্ষাপটে অমর গান বন্দে মাতরম রচনা করেছিলেন। ১৯০৫ সালের স্বদেশি আন্দোলনের সময় থেকে এই গান সমগ্র ভারতবাসীর অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে উঠেছিল। তখন থেকেই মা ভারতের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনকারী এই গান আমাদের আবেগ, ঐক্য ও জাতীয় চেতনার প্রতীক হয়ে আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।

তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার পর দেশ এটিকে শ্রদ্ধার সঙ্গে জাতীয় গান হিসেবে গ্রহণ করে। এই গানের ১৫০ বছর পূর্তির এই গৌরবময় উপলক্ষে আমরা সকলে প্রতিজ্ঞা করি — এই গানের চেতনা অনুযায়ী আমরা আমাদের মাতৃভূমিকে রাখব ‘সুজলাং সুফলাং’, সুখে-সমৃদ্ধিতে পরিপূর্ণ। বন্দে মাতরম!

রাষ্ট্রপতি মুর্মু উল্লেখ করেন, বন্দে মাতরম শুধু স্বাধীনতা সংগ্রামের সময়ই ভারতবাসীকে অনুপ্রাণিত করেনি, আজও এটি দেশবাসীর গর্ব, নিষ্ঠা ও দেশপ্রেমের প্রতীক হিসেবে জীবন্ত রয়েছে।

দেশজুড়ে আজ এই ১৫০তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বিদ্যালয়ভিত্তিক কার্যক্রম ও জনসম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।

এর আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এক্স-এ পোস্ট করে বলেন, ‘বন্দে মাতরম’ শুধু কয়েকটি শব্দের সংকলন নয়, এটি ভারতের আত্মার কণ্ঠস্বর।

তিনি লিখেছেন, ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে এই গানই দেশকে একত্র করেছিল এবং স্বাধীনতার চেতনাকে আরও শক্তিশালী করেছিল। একই সঙ্গে এটি বিপ্লবীদের মনে দেশমাতৃকার জন্য অটল নিষ্ঠা, গর্ব ও আত্মত্যাগের মনোভাব জাগিয়েছিল।

রাজধানী দিল্লিতে এই উপলক্ষে বিধানসভা একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে। নাগরিকদের নিজেদের পরিবার-পরিজনের সঙ্গে *বন্দে মাতরম*-এর পূর্ণাঙ্গ সংস্করণ গাওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে, যাতে এর ঐক্যের বার্তা আরও দৃঢ় হয়।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও জাতীয় রাজধানীতে অনুষ্ঠিত বিশেষ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে এই মহান গানের প্রতি জাতির শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।