শ্রীনগর, ৭ নভেম্বর: জম্মু ও কাশ্মীরের শ্রীনগর শহর শুক্রবার মরসুমের সবচেয়ে ঠান্ডা রাতের সাক্ষী হলো। গতরাতে ন্যূনতম তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে মাত্র ০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অন্যদিকে গুলমার্গ ও পাহেলগাঁও-তে পারদ নেমে গেছে হিমাঙ্কের নিচে।
আবহাওয়া অধিদফতরের কর্মকর্তারা জানান, গুলমার্গে আজ ন্যূনতম তাপমাত্রা ছিল মাইনাস ২.৬ ডিগ্রি এবং পাহেলগাঁওতে মাইনাস ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সম্প্রতি উপত্যকার পার্বত্য অঞ্চলে তুষারপাত হওয়ায় এবং আগামী দশ দিন রাতের আকাশ পরিষ্কার থাকার পূর্বাভাসে, শীতের তীব্রতা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উপত্যকায় মানুষেরা এখন আশ্রয় নিচ্ছেন ঐতিহ্যবাহী কাশ্মিরি পোশাকে। স্থানীয়রা গরম পোশাক ‘ফেরান’ এবং উলের জামা পরে ঠান্ডা এড়ানোর চেষ্টা করছেন। পাশাপাশি, কাশ্মিরের ঐতিহ্যবাহী আগুনভরা মাটির হাঁড়ি কাংরি-র ব্যবহারও বেড়ে গেছে।
দিনের বেলা সূর্যের হালকা রোদে কিছুটা স্বস্তি মিললেও, পাহাড়ঘেরা উপত্যকায় ঠান্ডা হাওয়া বইছে অবিরত, ফলে সূর্যের তাপও তেমনভাবে গরম পৌঁছে দিতে পারছে না।
প্রতি বছর ২১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয় কাশ্মিরের সবচেয়ে কঠিন শীতকাল — ৪০ দিনব্যাপী চিল্লাই কালান, যা শেষ হয় ৩০ জানুয়ারি। এই সময়ে উপত্যকার অধিকাংশ জলাধার আংশিকভাবে জমে যায়, রাস্তাগুলি পিচ্ছিল হয়ে পড়ে এবং সকালবেলার ঠান্ডার কারণে সাধারণ মানুষ ও যানবাহন দেরিতে রাস্তায় নামেন।
এ সময়ে অনেক জায়গায় পানীয় জলের কল জমে যায়, এবং মানুষদের দেখা যায় সকালে কলের চারপাশে আগুন জ্বালিয়ে বরফ গলানোর চেষ্টা করতে।
এদিকে জম্মু শহরে শুক্রবার ন্যূনতম তাপমাত্রা ছিল ১১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৈষ্ণোদেবীর বেস ক্যাম্প কাটরায় ন্যূনতম তাপমাত্রা ১২.১, বাটোটে ৬.১, বানিহালে ৮.৮ এবং ভাদ্রোয়াহ-তে ৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

