নতুন দিল্লি, ৩ নভেম্বর : সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেট অভিযান 4.0-র লক্ষ্য হল দুটি কোটি পেনশনভোগীকে পৌঁছানো, যাদের মধ্যে ২,০০০ এরও বেশি শহর ও শহর অন্তর্ভুক্ত হবে। এই অভিযানে সরকার পেনশনভোগীদের জন্য একটি স্যাচুরেশন-ভিত্তিক আউটরিচ অ্যাপ্রোচ গ্রহণ করেছে, যাতে প্রতিটি পেনশনভোগীকে ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেট সেবা প্রদান করা হয়।
ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেট পেনশনভোগীদের জন্য সরকারের ডিজিটাল সাশক্তিকরণের একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ হিসেবে দাঁড়িয়েছে, যা ডিজিটাল ইন্ডিয়া এবং লাইফ সিম্প্লিফিকেশন মিশনের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। এই অভিযানটি প্রাথমিকভাবে পেনশনভোগীদের জন্য আধার-ভিত্তিক মুখ প্রমাণীকরণ প্রযুক্তির ব্যবহার করে ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেট প্রদান করবে, যাতে পেনশনভোগীরা কোন বায়োমেট্রিক যন্ত্র ছাড়াই সহজে তাদের জীবন সনদ জমা দিতে পারেন।
ডাক বিভাগ এবং ইন্ডিয়া পোস্ট পেমেন্টস ব্যাংক পেনশনভোগীদের জন্য ডোরস্টেপ ডিএলসি পরিষেবা প্রদান করবে, যেখানে বিশেষ মনোযোগ দেয়া হবে অতিরিক্ত বয়স্ক এবং প্রতিবন্ধী পেনশনভোগীদের প্রতি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, “ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেটের মতো ডিজিটাল ইন্ডিয়া উদ্যোগগুলি দেশের সকল বয়স্ক নাগরিকের জন্য পেনশন প্রক্রিয়াকে অনেক সহজ করে দিয়েছে।”
এই অভিযানটি ব্যাংক, ডাক বিভাগ, ইউআইডিএআই, এমইআইটি, এনআইসি, সিজিডিএ, রেলওয়ে, এবং পেনশনভোগী কল্যাণ সংস্থাগুলির মতো গুরুত্বপূর্ণ সংস্থাগুলিকে একত্রিত করে। তাদের সকলের মিলিত প্রচেষ্টায় পেনশনভোগীদের ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করা হবে।
জাতীয় তথ্যকেন্দ্র (এনআইসি) ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেট নির্মাণের উপর বাস্তব-সময় মনিটরিং প্রদান করবে। এই পোর্টাল বিভিন্ন এজেন্সি দ্বারা ডিএলসি প্রস্তুতির প্রক্রিয়া অনুসরণ করে যাতে সঠিক সময়ে পেনশনভোগীদের জন্য সেবা নিশ্চিত করা যায়।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ড. জিতেন্দ্র সিং এই অভিযান সম্পর্কে বলেন, “ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেট অভিযান পেনশন বিতরণে একটি বিপ্লব নিয়ে এসেছে। এটি প্রযুক্তির সাহায্যে বয়স্ক নাগরিকদের জন্য পেনশন প্রাপ্তি সহজ করেছে এবং প্রক্রিয়ার মধ্যে থাকা অনেক পুরনো নিয়মকে তুলে দিয়েছে, যা আগে এটি কঠিন করে তুলেছিল।”
এই অভিযানের মাধ্যমে সরকার পেনশনভোগীদের জন্য জীবন সনদ প্রদান প্রক্রিয়াকে আরও সহজ, দ্রুত এবং ডিজিটালভাবে সাশক্তিশালী করতে বদ্ধপরিকর।

