কর্নাটকে মাল্লিকার্জুন খারগের ঘাঁটিতে আরএসএস’র মিছিল অনুমোদন, ১০টি শর্ত জুড়ে

চিত্তাপুরে, ৩০ অক্টোবর : কর্নাটকের ইয়াদগিরি জেলার প্রশাসন মাল্লিকার্জুন খারগের সাবেক আসন গুর্মিতকলে আরএসএসের মিছিলের জন্য শর্তাধীন অনুমতি প্রদান করেছে। ৩১ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই মিছিলের ওপর কড়া শর্ত আরোপ করা হয়েছে যাতে জনশান্তি বজায় রাখা যায়।

প্রশাসনিক সূত্রে জানা গেছে, মিছিলের জন্য দশটি শর্ত আরোপ করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে উস্কানিমূলক স্লোগান দেয়া, অস্ত্র বহন করা এবং জনসাধারণ বা ব্যক্তিগত সম্পত্তির ক্ষতি করা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

এই মিছিলটি নরেন্দ্র রাঠোড লে আউট থেকে শুরু হয়ে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে, যেমন সাম্রাট সার্কেল, বাসবেশ্বর সার্কেল, হনুমান মন্দির এবং কুম্ভারওয়াড়ি হয়ে যাবে।

অন্যদিকে, প্রতিবেশী কালাবুরগি জেলায় চিত্তাপুরে আরএসএস ও অন্যান্য সংগঠনগুলির মিছিলের অনুমতি নিয়ে আলোচনা ব্যর্থ হয়েছে। ২ নভেম্বর পরিকল্পিত মিছিলের জন্য একটি শান্তি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল, কিন্তু ঐক্যমত্যে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি।

বৈঠকটি কর্নাটক হাইকোর্টের নির্দেশনায় উপ-জেলা কমিশনার ফৌজিয়া তারানুমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে আরএসএস, ভীম আর্মি, ভারতীয় দলিত প্যান্থার, হাসিরু সেনে এবং অন্যান্য সংগঠনগুলির প্রতিনিধিরা তীব্র বাদানুবাদে লিপ্ত হন।

বিভিন্ন সংগঠন আরএসএসকে তাদের মিছিলের সময় জাতীয় পতাকা এবং সংবিধানের প্রস্তাবনা বহন করার প্রস্তাব দেয়, তবে আরএসএস এই প্রস্তাব গ্রহণ করতে অস্বীকার করে। তারা তাদের ঐতিহ্যবাহী অনুশীলন অনুসরণ করার অধিকার প্রতিষ্ঠা করে। এরই মধ্যে ভীম আর্মি এবং অন্যান্য সংগঠন সতর্ক করে দিয়েছে যে, যদি আরএসএস এই পরিবর্তন না মেনে চলে, তবে তারা একই দিনে নিজেদের মিছিল করবে।

এদিকে, কর্নাটক শিক্ষা দফতর বিডার জেলার চারজন শিক্ষককে নোটিস পাঠিয়েছে। তারা আগের মাসে আরএসএসের মিছিলের অংশ হিসেবে অংশগ্রহণ করেছিলেন। বিডারের আওরাদ ব্লক শিক্ষা কর্মকর্তা তাদের সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা ছবি এবং ভিডিওর ভিত্তিতে তাদের ব্যাখ্যা চেয়েছেন।

এই ঘটনায় আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে, এবং কিছু শিক্ষক অভিযোগ করেছেন যে তাদের বিরুদ্ধে নোটিস দেওয়া হয়েছে শুধুমাত্র তাদের অংশগ্রহণের জন্য, যা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি একতরফা পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।