অশ্লীল ভাষায় যে মহিলা দেশের প্রধানমন্ত্রীকে গালমন্দ করেছে, তাকে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার ‘ভদ্রমহিলা’ বলে সম্বোধন করছেন, তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের: সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৯ অক্টোবর:
অশ্লীল ভাষায় যে মহিলা দেশের প্রধানমন্ত্রীকে গালমন্দ করেছে, তাকে ত্রিপুরার ২০ বছরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার ‘ভদ্রমহিলা’ বলে সম্বোধন করছেন, তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের। উনার থেকে এই বিষয়টি আশা করা যায় নি। মানিক সরকার সম্পর্কেও যদি কেউ এই ধরনের শব্দ ব্যবহার করতো, আমি তার তীব্র প্রতিবাদ করতাম। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এভাবেই ঘটনার নিন্দা জানালেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। এই প্রসঙ্গে এদিন বিরোধী দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরীকেও এক হাত নিলেন তিনি। তার পাশাপাশি কমলপুর শান্তিরবাজারে আন্দোলনের নামে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে প্রদেশ বিজেপি সভাপতি রাজীব ভট্টাচাৰ্যর অনাকাঙ্ক্ষিত উচ্চারণ জনিত ত্রুটির ফলে একটি শব্দকে নিয়ে কমিউনিস্টরা যেভাবে বিকৃতি করছে, তারও তীব্র নিন্দা জানান।

তিনি বলেন, এই সমাজ ব্যবস্থাতে কমিউনিস্টরা আর খাপ খায় না। ২০২৮ তো দূরের কথা, ২০৮৮ তেও কমিউনিস্ট আর ক্ষমতায় আসতে পারবে না। কারণ মানুষ তাদেরকে আর চায় না। তাই তারা এখন নীতি আদর্শ বিসর্জন দিয়ে, এই পথে হাটছে। কমিউনিস্টদের এখন চরম দুর্দশা। নৃপেন চক্রবর্তীদের মত নেতাদের দলকে এরা কোথায় নিয়ে গেছেন…! প্রশ্নঃ তোলেন বিপ্লব কুমার দেব। তিনি বলেন, কমিউনিস্টরা দুনিয়া থেকে মুছে যাচ্ছে। তাদের ব্যর্থতার নিরিখে যুবরাও এখন তাদের সাথে নেই।

এদিন সিভিল সোসাইটির আন্দোলন কর্মসূচির নামে আক্রমণের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবি জানান। তিনি বলেন, নরেন্দ্র মোদী প্রো নর্থ ইস্ট। এই অঞ্চলের বিকাশ উনার কার্যকালে সর্বোচ্চ প্রাধান্য পেয়েছে। কিন্তু মনমোহন সিং এই অঞ্চলের সাথে নিবিড় যোগ থাকার পরেও এই অঞ্চলের বিকাশে কি করেছেন, বা কতবার ভিজিট করেছেন তা রাজ্যের মানুষ খুব ভালো করেই জানেন।

তিনি বলেন, প্রদ্যুৎ কিশোর দেববর্মনও ভালো করে জানেন, জনজাতিদের কল্যাণ মোদীজিই করবেন। মোদির নেতৃত্বেই ত্রিপুরায় জনজাতিদের সর্বাধিক কল্যাণ হয়েছে। এদিন পশ্চিমবঙ্গের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গ মনীষীদের পুণ্য ভূমি, সংস্কৃতির ক্ষেত্র। আর মমতা ব্যানার্জীর নেতৃত্বে সেই গড়িমা ধুলায় মিশে গেছে। মেয়েরা আজ সুরক্ষিত নয়। সেই রাজ্যের মানুষ শুধুমাত্রই মোদী জির নেতৃত্বে সুরক্ষিত। সামাজিক নিরাপত্তাই এখন পশ্চিমবঙ্গের একমাত্র প্রাধান্য। আর আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে মানুষ তা বাস্তবে করে দেখাবে।