ভারতে ইলেকট্রনিক্স কম্পোনেন্ট উৎপাদন বাড়ানোর উদ্যোগে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ

নতুন দিল্লি, ২৮ অক্টোবর : কেন্দ্রীয় ইলেকট্রনিক্স এবং তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব মঙ্গলবার জানিয়েছেন যে, ভারতে ইলেকট্রনিক্স কম্পোনেন্ট উৎপাদনের উন্নয়নের ফলে ইলেকট্রনিক্স সেক্টরে কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়বে।

মন্ত্রী বৈষ্ণব সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ একটি পোস্টে জানিয়েছেন, “সেপ্টেম্বর ২০২৫ সালে স্মার্টফোন রপ্তানি ১.৮ বিলিয়ন ডলারের নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেছে।” তিনি আরও জানান, ভারত থেকে রপ্তানি হওয়া সমস্ত পণ্যের তালিকায় ইলেকট্রনিক্স আইটেম এখন তৃতীয় স্থানে রয়েছে।

ভারতের ইলেকট্রনিক্স কম্পোনেন্ট উৎপাদনের বৃদ্ধির ফলে এই খাতে হাজার হাজার নতুন চাকরি সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ভারতের সেলুলার অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স অ্যাসোসিয়েশন (আইসিএইএ)-এর সাম্প্রতিক একটি রিপোর্টে জানানো হয়েছে, ভারতীয় স্মার্টফোন রপ্তানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৯৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১.৮ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক ছাড়িয়েছে।

আইসিএইএ-এর চেয়ারম্যান পঙ্কজ মোহিন্দ্রু রপ্তানি বৃদ্ধির ব্যাপারে মন্তব্য করে বলেন, “এটি ভারতের মোবাইল ফোন উৎপাদন ইকোসিস্টেমের শক্তিশালী ভিত্তির প্রতি ইঙ্গিত দেয়।”

এর আগে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বৈষ্ণব ইলেকট্রনিক্স কম্পোনেন্ট ম্যানুফ্যাকচারিং স্কিম (ইসিএমএস) এর অধীনে ৫,৫৩২ কোটি টাকার ৭টি প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের অনুমোদন ঘোষণা করেছিলেন। এই স্কিমের আওতায় ৩৬,৫৫৯ কোটি টাকার উপাদান উৎপাদিত হবে এবং ৫,১০০ এর বেশি সরাসরি চাকরি সৃষ্টি হবে।

ইলেকট্রনিক্স ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, এখন থেকে মাল্টি-লেয়ার প্রিন্টেড সার্কিট বোর্ড (পিসিবি), এইচডিআই পিসিবি, ক্যামেরা মডিউল, কপার ক্ল্যাড ল্যামিনেট এবং পলিপ্রোপাইলাইন ফিল্মস ভারতেই তৈরি হবে।

ইসিএমএস স্কিমটি স্থানীয় এবং বৈশ্বিক উভয় কোম্পানির কাছ থেকে অত্যন্ত ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পেয়েছে। ভারতীয় ইলেকট্রনিক্স সেক্টরে এই প্রকল্পগুলির মাধ্যমে ১.১৫ লাখ কোটি টাকার বিনিয়োগের যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, তা দেশের ইতিহাসে ইলেকট্রনিক্স খাতে সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ।

এই পরিকল্পনাগুলির অর্থনৈতিক এবং শিল্পগত প্রভাব সম্পর্কে বলা হচ্ছে, এটি উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি, গবেষণা ও উন্নয়ন খাতে উচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন চাকরির সুযোগও সৃষ্টি করবে। এর ফলে, দেশীয় বাজারে পণ্যের মূল্য কমবে এবং ভারতীয় অর্থনীতি আরও শক্তিশালী হবে।