ত্রিপুরার জনজাতি সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করে একাংশ বিভাজন সৃষ্টির চেষ্টা করছে : মানিক সাহা

আগরতলা, ২৩ অক্টোবর : রাজনীতিতে সাম্প্রদায়িক বিভাজন সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে একাংশ। এই চেষ্টা কখনোই সফল হবে না। ভয় ভীতি প্রদর্শন করে বিজেপি দলকে দমিয়ে রাখা যাবে না। হিংসার রাজনীতি থেকে বেরিয়ে এসে শান্তিপূর্ণভাবে রাজ্যের উন্নয়ন করতে হবে। আজ টাকারজলায় বিজেপির যোগদান সভায় একথাগুলি বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডক্টর মানিক সাহা। এদিনের এই যোগদান সভায় ২০০ পরিবারের ৬৯০ ভোটারকে ভারতীয় জনতা পার্টিতে স্বাগত জানান মুখ্যমন্ত্রী ডক্টর মানিক সাহা।

এদিনের অনুষ্ঠানে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিজেপি প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য, জনজাতি কল্যাণ ও শিক্ষা দপ্তরের মাননীয় মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা এবং মন্ডল সভাপতি নির্মল দেববর্মা সহ অন্যান্য বিজেপি নেতৃত্ববৃন্দ।

এদিনের সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, এর আগেও সাম্প্রদায়িক বিভাজন তৈরি করার চেষ্টা করেছে কমিউনিস্টরা, কিন্তু সেটি সফল হয়নি। ত্রিপুরার মানুষ শান্তি, উন্নয়ন ও গণতন্ত্রকে মূল্য দেয়। জনগণের উন্নয়নের কাজে গিয়ে আক্রমণ করা হলে দল চুপ থাকবে না। আইনি উপায়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।

তিনি আরো বলেন, বিজেপি সরকার সংঘাত চায়না। বিজেপি জনজাতিদের উন্নয়ন চায়। তাই বিজেপিকে বাধা দেওয়া হলে জনজাতিদের উন্নয়নে বাধা পড়বে। শান্তি শৃঙ্খলা বজায় থাকলেই উন্নয়ন সম্ভব। সন্ত্রাস ও বিভাজনের রাজনীতিতে বিজেপি বিশ্বাস করে না বলেই দাবি করেন তিনি। তাঁর কথায়, “রাজনীতি অবশ্যই মর্যাদার সঙ্গে পরিচালিত হওয়া উচিত। বিজেপি বিশ্বাস করে ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস’- প্রত্যেকের অন্তর্ভুক্তি ছাড়া উন্নয়ন অসম্পূর্ণ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে আমরা সকলের জন্য উন্নয়নের কাজ করছি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নেতৃত্বাধীন সরকার জনজাতি মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ ব্যবস্থা ও কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রেও কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার সমন্বিতভাবে পদক্ষেপ নিচ্ছে।”

সমাবেশে বিজেপির প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকার রাজ্যের জনজাতি অংশের কল্যাণে বহুমুখী পরিকল্পনা গ্রহণ করে কাজ করে চলেছে। কেন্দ্রীয় সরকার জনজাতি কল্যাণে পৃথক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও জনজাতিদের কল্যাণে পৃথক কর্মসূচি গ্রহণ করে উপজাতি কল্যাণে বিশেষ ভূমিকা পালন করে চলেছেন। রাজ্যের উপজাতি অংশের জনগণের শিক্ষা স্বাস্থ্য কর্মসংস্থান সহ বিভিন্ন প্রকল্পে কাজ করে চলেছে বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকার। সরকারের শক্তিকে আরো সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যে বিশেষ করে জনজাতি অংশের জনগণকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন বিজেপির প্রদেশ সভাপতি।