চেন্নাই, ২০ অক্টোবর : দীপাবলির উৎসবের আমেজের মধ্যেই প্রবল বৃষ্টিতে ভেসে গেল চেন্নাই ও সংলগ্ন অঞ্চল। সোমবার সকাল থেকেই শহরের একাধিক এলাকা—ভেলাচেরি, মেদাভাক্কম, পল্লিকারানাই ও ইসিআর নীলাঙ্কারাই—জুড়ে ভারি বৃষ্টিপাতের ফলে জলজট তৈরি হয়েছে।
ভারতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, তামিলনাড়ুর উপকূলীয় জেলাগুলিতে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি, বজ্রঝড় ও বিদ্যুৎ চমক সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। রাজ্যের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
আইএমডি-র রিপোর্ট অনুযায়ী, এরোড, নীলগিরি, কোয়েম্বাটুর, তিরুপ্পুর, দিন্দিগুল, থেনি, মাদুরাই, বিরুধুনগর, রামনাথপুরম, শিবগঙ্গা, পুদুকোট্টাই, তাঞ্জাভুর, তিরুভারুর, কারাইকাল, ময়িলাদুথুরাই, ভিল্লুপুরম, কাঞ্চিপুরম, চেঙ্গালপট্টু, কাডালুর ও নাগাপট্টিনম জেলায় ৬৪.৫ মিমি থেকে ১১১.৫ মিমি পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হতে পারে।
বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণ-পূর্ব অংশে ২১ অক্টোবরের মধ্যে নিম্নচাপের সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। ওই নিম্নচাপ ক্রমে পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিমমুখী হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এরই মধ্যে থূথুকুড়ি শহর টানা চার দিনের ভারি বৃষ্টিতে মারাত্মক জলজটে বিপর্যস্ত। শহর ও আশপাশের এলাকায় স্বাভাবিক জনজীবন ব্যাহত হচ্ছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্টালিন রবিবার রাজ্যের বৃষ্টিপাত পরিস্থিতি ও উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বৃষ্টির প্রস্তুতি পর্যালোচনা করেন। চেন্নাইয়ে স্টেট ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজ্যের সমস্ত জেলা প্রশাসকের সঙ্গে তিনি বৈঠক করেন।
মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনকে নির্দেশ দেন, উপকূলীয় ও নিচু এলাকায় বসবাসকারী বাসিন্দাদের অবিলম্বে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে এবং উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম জোরদার করতে।
রাজ্যজুড়ে চলমান বৃষ্টিপাত ও নিম্নচাপের আশঙ্কায় প্রশাসন সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থা জারি রেখেছে, যদিও দীপাবলির আলোয় এখনো উৎসবমুখর চেন্নাইয়ের একাংশ।

