দেশজুড়ে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর প্রস্থান, দক্ষিণ ভারতে শুরু উত্তর-পূর্ব মৌসুমী বৃষ্টি

নয়াদিল্লি, ১৬ অক্টোবর: গোটা দেশ থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর প্রস্থান ঘটেছে বলে বৃহস্পতিবার ঘোষণা করেছে ভারতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তর । একই সঙ্গে তামিলনাড়ু, পুদুচেরি ও কারাইকাল, উপকূলীয় অন্ধ্রপ্রদেশ, রায়লসীমা, দক্ষিণ অভ্যন্তরীণ কর্ণাটক এবং কেরালা-মাহে অঞ্চলে উত্তর-পূর্ব মৌসুমী বায়ুর প্রবেশ ঘটেছে। এই বায়ুপ্রবাহের সঙ্গে দক্ষিণ ভারতে বৃষ্টির পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আইএমডি।

আগামী সাত দিনের জন্য কেরালা, তামিলনাড়ু ও পুদুচেরি অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের তীব্রতা বাড়বে। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার তামিলনাড়ু, কেরালা, মাহে এবং লক্ষদ্বীপ অঞ্চলে বিচ্ছিন্নভাবে অতিভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় তামিলনাড়ুর কিছু স্থানে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে, অন্যদিকে কনকণ ও গোয়াতেও কিছু জায়গায় ভারী বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের সংজ্ঞা অনুযায়ী, ৬৪.৫ থেকে ১১৫.৫ মিলিমিটার বৃষ্টিকে ‘ভারী বৃষ্টি’, ১১৫.৬ থেকে ২০৪.৪ মিলিমিটারকে ‘অতিভারী বৃষ্টি’, এবং ২০৪.৪ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাতকে ‘অতিপ্রবল বৃষ্টি’ বলা হয়।

উত্তর ভারতের আবহাওয়া পরিস্থিতিতে বড় পরিবর্তন না হলেও, দিল্লি ও এনসিআর অঞ্চলে আগামী কয়েকদিন আকাশ প্রধানত পরিষ্কার থাকবে বলে জানিয়েছে আইএমডি। ১৬ থেকে ১৯ অক্টোবরের মধ্যে দিনভর পরিষ্কার আকাশ ও সকালে হালকা কুয়াশা বা ধোঁয়াশা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। বৃহস্পতিবার দিল্লিতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩১ থেকে ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকবে, যা স্বাভাবিকের তুলনায় কিছুটা কম। দুপুরে উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ১০–১৫ কিলোমিটার বেগে হাওয়া বইবে।

১৭ ও ১৮ অক্টোবর সকালেও হালকা কুয়াশা বা ঝাপসা থাকতে পারে, তবে দিনের বেলায় আবহাওয়া পরিষ্কার থাকবে। এই দুই দিনে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩২–৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন ১৭–২০ ডিগ্রির মধ্যে থাকার সম্ভাবনা। হাওয়া দিনের বেলায় পশ্চিম বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে বইবে এবং রাতে তা উত্তর-পূর্ব দিকে ঘুরে যাবে। ১৯ অক্টোবর সকালে ধোঁয়াশা বা পাতলা কুয়াশা দেখা যেতে পারে, তবে পরে আকাশ পরিষ্কার থাকবে। ওই দিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩২–৩৪ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৯–২১ ডিগ্রির মধ্যে থাকবে। দিনভর উত্তর-পূর্ব দিক থেকে হাওয়া বইবে, যার গতি সন্ধ্যার পর ধীরে কমে আসবে।

উল্লেখযোগ্য যে, উত্তর-পূর্ব মৌসুমী বায়ু দক্ষিণ ভারতের জন্য মূল বৃষ্টির উৎস। এই সময় তামিলনাড়ু সহ দক্ষিণের রাজ্যগুলোতে খরিফ ফসলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বর্ষা শুরু হয়। অন্যদিকে উত্তর ভারত ধীরে ধীরে শীতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, শুরু হয়েছে তুলনামূলক শুষ্ক ও স্বচ্ছ শরৎকালীন আবহাওয়া।