নয়াদিল্লি, ১৪ অক্টোবর: “ভারতের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব ও প্রগতিশীল নীতিনির্ধারণ প্রযুক্তি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-তে দেশকে বিশ্ব নেতার আসনে বসিয়েছে”—বললেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। মঙ্গলবার এআই ভারত শক্তি অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন। এই অনুষ্ঠানটি ইন্ডিয়া এআই ইমপ্যাক্টাম সামিট 2026-এর সরকারি প্রাক-শীর্ষ সম্মেলন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, “আজ আমরা এক ঐতিহাসিক সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি, যেখানে প্রশাসন ও নীতিগত সিদ্ধান্ত আগের চেয়ে অনেক দ্রুতগতিতে এগোচ্ছে। নীতির বাস্তবায়ন যখন দূরদর্শী নেতৃত্বের অধীনে হয়, তখনই প্রকৃত পরিবর্তন আসে।”
তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ২০১৪ সাল থেকে প্রযুক্তিনির্ভর রূপান্তরের জন্য প্রশংসা করেন এবং বলেন, “২০১৪ থেকে আজ পর্যন্ত বহু নীতিগত উদ্যোগ শাসন ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করেছে এবং উদ্ভাবনের উপযোগী পরিবেশ গড়ে তুলেছে।”
সীতারামন জানান, ভারতের প্রতিষ্ঠিত নীতিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সহ উদীয়মান প্রযুক্তির ক্ষেত্রে দেশকে বিশ্ব নেতৃত্বে তুলে ধরছে। পাশাপাশি তিনি অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এন. চন্দ্রবাবু নাইডুর প্রযুক্তিনির্ভর উন্নয়নের প্রচেষ্টাকে কুর্নিশ জানান এবং স্মরণ করিয়ে দেন, কীভাবে তাঁর নেতৃত্বে হায়দরাবাদকে আইটি হাব হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছিল।
তিনি বলেন, “তাঁর অভিজ্ঞতা ও দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে অন্ধ্রপ্রদেশই ভারতের প্রথম এআই হাব গড়ে তোলার সঠিক জায়গা।”
নির্মলা সীতারামন আরও বলেন, “আজ ভারতের নীতি এতটাই অগ্রসর যে অনেক দেশ এখনও তা আত্মস্থ করতেও পারেনি। এই দৌড়ে রাজ্যগুলির মধ্যে একটি সুস্থ প্রতিযোগিতা গড়ে উঠেছে, যা দেশের পক্ষেই মঙ্গলজনক।”
তিনি জোর দিয়ে বলেন, “‘বিকসিত ভারত ২০৪৭’-এর লক্ষ্যে পৌঁছতে গেলে সক্রিয় প্রশাসন এবং নীতিগত সমর্থন অত্যন্ত জরুরি। আজকের নেতৃত্ব ও পরিকল্পনা দেখে স্পষ্ট, আমরা সেই লক্ষ্যের দিকেই দ্রুত এগিয়ে চলেছি।”
এই বক্তব্যের মাধ্যমে দেশের ডিজিটাল রূপান্তরে নেতৃত্বের ভূমিকাকে আরও একবার সামনে আনলেন অর্থমন্ত্রী।

