আগরতলা, ৯ অক্টোবর:
৪৮ ঘন্টার মাথায় প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেস কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবিতে আজ এনসিসি থানায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নিকট এফআইআর জমা করেছেন বঙ্গ তৃনমূল নেতৃত্বরা। পুলিশ ব্যবস্থা না নিলে আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলেও হুশিয়ারি দিয়েছেন নেতৃত্বরা।
উল্লেখ্য, উত্তরবঙ্গে বিজেপি সাংসদ ও বিধায়ক আক্রমণের পর রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয়ে ভাঙচুরের ঘটনায় রীতিমতো উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। ইতিমধ্যেই গতকাল রাজ্যে এসেছেন ৬ সদস্যের তৃণমূল এক প্রতিনিধি দল। এদিন দফায় দফায় বেশ কয়েকবার তারা সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে গোটা ঘটনায় রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার অবনতি সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন।
আজ এনসিসি থানায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নিকট এফআইআর জমা দিয়েছেন। পাশাপাশি বঙ্গ নেতৃত্বরা এই গোটা ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
এদিন এফআইআর দায়ের করে বঙ্গ তৃনমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, উত্তরবঙ্গের ঘটনায় কোনোভাবেই তৃনমূল কংগ্রেস জড়িত নয়, এই ঘটনাকে তৃনমূল সমর্থনও করেনা, মুখ্যমন্ত্রী নিজে আহতদের দেখতে গেছেন, কিন্তু রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস কার্যালয় আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। পুলিশ স্বতপ্রণোদিত মামলা নিতে পারলেও কোনো উদ্যোগ গ্রহন করেনি। পুলিশের সামনে গোটা ঘটনা ঘটলেও কাউকে আটক করা হয়নি।
পুলিশের সাথে বৈঠকে সুদীপ রাহা বলেন, নাগরাকাটা হামলার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে বাংলা পুলিশ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। কিন্তু এখানে এখনো একজন গ্রেপ্তার করা হয়নি।
এদিকে, ত্রিপুরা সফরকালে অভিষেক ব্যানার্জির কনভয়ের উপর হামলার ঘটনায় ৪ বছরেরও বেশি সময় ধরে পুলিশ কোনও গ্রেপ্তার করেনি।
সাংসদ সুস্মিতা দেব বলেন, সাংবাদিক সম্মেলনে ত্রিপুরার বিজেপি মুখপাত্র প্রকাশ্যে স্বীকার করেছেন যে তারা আমাদের আগরতলা পার্টি অফিসে এআইটিসি পোস্টার এবং ব্যানার ভাঙচুর করছেন। তবুও এখনো পর্যন্ত কেন কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি তার প্রশ্ন তোলেন বঙ্গ নেতৃত্বরা। তারা শাসক দলের সমর্থিত বলেই কি তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না, প্রশ্ন তোলেন বঙ্গ নেতৃত্বগণ। অবিলম্বে এই ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার না করা হলে আদালতের দ্বারস্থ হবেন নেতৃত্বগণ।
উল্লেখ্য, তৃনমূল কংগ্রেসের ধলাই জেলা সভাপতি সুমন দে – র স্বাক্ষরিত ৮ জনের বিরুদ্ধে একটি এফআইআর জমা করা হয়েছে এদিন। ঝন্টু সাহা, নকুল দেবনাথ, কানাই সাহা, রামু সাহা, প্রেমচাঁদ পাল, সুমন গাঙ্গুলি, অজয় দাস ও রামু দাস সহ বিজেপি কর্মী সমর্থক যারা ওই বিক্ষোভে সামিল ছিলেন তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়।

