ইসলামাবাদ, ৫ অক্টোবর : পাকিস্তানের অধিকৃত কাশ্মীরে (পিওকে) অরাজকতার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। গত কয়েক দিনে সেখানে ব্যাপক বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ দেখা গিয়েছে। হাজার হাজার মানুষ আওয়ামী অ্যাকশন কমিটি-এর ব্যানারে অর্থনৈতিক সহায়তা ও রাজনৈতিক সংস্কারের দাবিতে রাস্তায় নেমেছে।
স্থানীয়দের মধ্যে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ইউরোপিয়ান টাইমস-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, আটা ও বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে আওয়ামী অ্যাকশন কমিটি অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু করেছে। এছাড়া পিওকে-র মানুষ পাকিস্তানে বসবাসরত কাশ্মীরি শরণার্থীদের জন্য সংরক্ষিত ১২টি আইনসভা আসন বাতিলের দাবি তুলেছে।
প্রতিবাদ চলাকালীন সাধারণ মানুষ ও পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এই সহিংস ঘটনায় অন্তত ১০ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং ১০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন।
বাগ জেলার ধীরকোট এলাকায় পুলিশের গুলিতে চারজন বিক্ষোভকারী নিহত হন। এছাড়া মুজাফফরাবাদ, দদয়াল (মীরপুর) ও কোহালা সংলগ্ন ছামিয়াতি এলাকায়ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। পাথর নিক্ষেপকারী বিক্ষোভকারীদের উপর পুলিশের গুলি চালানোয় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পরে এই দমননীতির প্রতিবাদে মানুষ মুজাফফরাবাদের দিকে দীর্ঘ মিছিল শুরু করে।
বিক্ষোভের জেরে পিওকে-র স্বাভাবিক জনজীবন ভেঙে পড়েছে। বাজার, স্কুল ও গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। প্রশাসন বিক্ষোভ দমন করতে ইন্টারনেট ও মোবাইল পরিষেবায় আংশিক কমিউনিকেশন ব্ল্যাকআউট জারি করেছে। সংবেদনশীল এলাকাগুলোতে আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
এই ঘটনার ফলে পাকিস্তানের অধিকৃত কাশ্মীরের রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতি আরও অস্থির হয়ে উঠেছে বলে বিশ্লেষকদের মত।

