কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে হাসপাতালে ভর্তি, অবস্থা স্থিতিশীল

বেঙ্গালুরু, ১ অক্টোবর : কংগ্রেসের জাতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে মঙ্গলবার রাতে জ্বর, ক্লান্তি ও শ্বাসকষ্টের অভিযোগের পর বেঙ্গালুরুর এম. এস. রমাইয়া মেমোরিয়াল হাসপাতালে ভর্তি হন। খাড়গের শারীরিক অবস্থার বিষয়ে তাঁর পুত্র এবং কর্ণাটক সরকারের মন্ত্রী প্রিয়াঙ্ক খাড়গে জানান, বর্তমানে তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল এবং তিনি সুস্থ আছেন।

প্রিয়াঙ্ক খাড়গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ পোস্ট করে জানান, “চিকিৎসকরা খাড়গেকে পেসমেকার বসানোর পরামর্শ দিয়েছেন এবং সে কারণেই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। সকলের উদ্বেগ ও শুভকামনার জন্য ধন্যবাদ।”

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতে জ্বর ও পায়ে ব্যথার কারণে খাড়গেকে হাসপাতালে আনা হয়। চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে তাঁর নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা, যার মধ্যে ইসিজিও অন্তর্ভুক্ত ছিল, সম্পন্ন হয়েছে। চিকিৎসকরা তাঁকে ভর্তি থাকার পরামর্শ দেন। বর্তমানে তিনি সাধারণ ওয়ার্ডেই চিকিৎসাধীন এবং সিনিয়র চিকিৎসকরা তাঁর স্বাস্থ্যের ওপর নিয়মিত নজর রাখছেন।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত খাড়গে তাঁর রাজনৈতিক কার্যক্রম যথারীতি চালিয়ে যান এবং স্বাভাবিক ছিলেন। সম্প্রতি তিনি বিহার বিধানসভা নির্বাচনে সক্রিয়ভাবে প্রচার করছেন। গত কয়েকদিন আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে ‘ভোট চুরি’র অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি।

পাটনায় রাহুল গান্ধীর ‘ভোটার অধিকার যাত্রা’র সমাপনী জনসভায় খাড়গে বলেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদির চুরি করার অভ্যাস আছে। তিনি ভোট চুরি করেন, টাকা চুরি করেন এবং যারা দেশের ব্যাংক লুট করে বিদেশ পালিয়েছে তাদেরই দেখভাল করেন।” তিনি আরও দাবি করেন, “বিহার নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী ভোট চুরি করে জিততে চাইছেন। আপনাদের সতর্ক থাকতে হবে।”

উল্লেখ্য, মল্লিকার্জুন খাড়গে তাঁর রাজনৈতিক জীবনের শুরু করেন কর্ণাটক থেকে। তিনি ১৯৭২ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত গুরমিতকল এবং পরে ২০০৮ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত চিত্তাপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিধায়ক ছিলেন। ১৯৯৬ থেকে ১৯৯৯ পর্যন্ত কর্ণাটক বিধানসভায় বিরোধী দলের নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া, ২০০৫ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত কর্ণাটক প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সভাপতি ছিলেন এবং বিভিন্ন মুখ্যমন্ত্রীর মন্ত্রিসভায়ও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন।