দ্রুত ইন্টারনেটে বদলাচ্ছে গ্রামীণ জীবনযাত্রা: রতন লাল নাথ

আগরতলা, ২৭ সেপ্টেম্বর: বিদ্যুৎ মন্ত্রী রতন লাল নাথ আজ স্বদেশী পণ্যের গুরুত্বের উপর জোর দিয়ে বলেন, বিএসএনএলের ৯৭,৫০০টি ৪জি স্যাচুরেশন মোবাইল টাওয়ার গ্রামীণ এলাকায় ডিজিটাল সংযোগকে শক্তিশালী করতে বড় ভূমিকা নেবে। এটি দেশব্যাপী ডিজিটাল অবকাঠামো গঠনে এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ।

দেশের ডিজিটাল অগ্রগতির পথে এটি একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ বলে তিনি মন্তব্য করেন।

মন্ত্রী এই বক্তব্য রাখেন নোয়াগাঁও, মোহনপুর ৪জি স্যাচুরেশন বিটিএস সাইটে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে।

এই কেন্দ্রটি ত্রিপুরা থেকে বাছাই করা হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাত ধরে সারা দেশে ৯৭,৫০০ টি বিএসএনএল ৪জি স্যাচুরেশন মোবাইল টাওয়ারের জাতীয় পর্যায়ের উদ্বোধনের জন্য।

মন্ত্রী বলেন দ্রুত ইন্টারনেট পৌঁছে দিতে এখন ৪জি নেটওয়ার্ক চালু করা হচ্ছে, পাশাপাশি এর সঙ্গে যুক্ত হবে ৫জি-র সুবিধা।

তিনি জানান জনজাতি, সীমান্তবর্তী এবং নকশালপ্রভাবিত এলাকায় বিএসএনএল ৪জি স্যাচুরেশন মোবাইল টাওয়ার স্থাপন করা হচ্ছে। বিএসএনএল একমাত্র নেটওয়ার্ক যা সব জায়গায় উপলব্ধ ।

মন্ত্রী বলেন ইন্টারনেটের কারণে আজ আমরা ডাক্তারদের সঙ্গে অনলাইনে কথা বলতে পারি, অনলাইন শিক্ষা নিতে পারি, টেলিমেডিসিন পরিষেবা পাচ্ছি। ই-কমার্স, সোশ্যাল মিডিয়া, ডিজিটাল হেলথ কেয়ার, বায়োটেকনোলজি সহ নানা ক্ষেত্রে 4G নেটওয়ার্ক গ্রামীণ মানুষদের জন্য বড় সহায়ক হবে। এখন প্রযুক্তি সবার হাতে পৌঁছে যাচ্ছে। মানুষ মোবাইলে সিনেমা দেখছে, স্মার্ট হোম ডিভাইস ব্যবহার করছে—গ্রামের মানুষও এই সুবিধা পাচ্ছেন।

তিনি আরও জানান, গ্রামীণ ও দুর্গম এলাকায় ইন্টারনেট সংযোগ যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

তিনি বলেন ইন্টারনেটের কারণে আমাদের জীবনধারাও বদলে গেছে। এর ভালো দিক যেমন আছে, খারাপ দিকও আছে। দেশে ১০০% ৪জি কভারেজ দেওয়া হবে। আমরা চাই, সবাই এই সুবিধা ভোগ করুক। ত্রিপুরার ১১৮টি গ্রামীণ এলাকায় ইতিমধ্যেই ৪জি নেটওয়ার্ক বসানো হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য হলো জনজাতি এলাকাকে উন্নত করা, কারণ তা না হলে সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। আজ প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে নারী ও জনজাতি উন্নয়নের কথা উল্লেখ করেছেন। তাঁদের উন্নয়ন ছাড়া ‘এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত’ সম্ভব নয়। আমরা এখন নিজেদের প্রযুক্তি ব্যবহার করছি। আজকের যুগ তথ্য ও প্রযুক্তির যুগ। সারা দেশে ইতিমধ্যেই ৯৭,৫০০ মোবাইল টাওয়ার যুক্ত হয়েছে, যার মধ্যে ত্রিপুরাও রয়েছে। এ কাজে খরচ হয়েছে ৩৭,২৮৪ কোটি টাকা। আমাদের স্বদেশী পণ্যের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। এই ইন্টারনেটের জন্য আমাদের অন্যের ওপর নির্ভর করতে হয় না—এটি আমাদের নিজস্ব এবং স্বদেশী প্রযুক্তি।

অনুষ্ঠানে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব এবং রাজ্যসভা সাংসদ রাজীব ভট্টাচার্যও উপস্থিত ছিলেন।