জোধপুর, ২৬ সেপ্টেম্বর: জোধপুরের সিবিআই আদালত ২০১৫ সালের এক বহুলচর্চিত দুর্নীতির মামলায় রায় ঘোষণা করে, প্রাক্তন আয়কর কমিশনার পবন কুমার শর্মা ও প্রাক্তন আয়কর অফিসার শৈলেন্দ্র ভাণ্ডারীকে চার বছরের সাদামাটা কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছে।
মামলাটি ২০১৫ সালের, যখন সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন সোজাতি গেট সংলগ্ন একটি স্বর্ণালঙ্কারের দোকানে জাল ফাঁদ পেতে ওই দুই কর্মকর্তাকে হাতেনাতে গ্রেফতার করে। অভিযোগ, তাঁরা ₹১৫ লক্ষ টাকার ঘুষ নিচ্ছিলেন।
গ্রেফতারের পর তদন্তে উঠে আসে, শর্মা ও ভাণ্ডারী তাঁদের পদ ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্থানীয় স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বেআইনিভাবে অর্থ আদায় করছিলেন।
প্রমাণের ভিত্তিতে সিবিআই আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। দীর্ঘ শুনানির পর আদালত দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের অধীনে তাঁদের দোষী সাব্যস্ত করে।
রায় ঘোষণার সময় ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, “সংবিধানিক দায়িত্বে থাকা উচ্চপদস্থ অফিসারদের কাছ থেকে নৈতিকতা ও সততার প্রত্যাশা থাকে। কিন্তু এই দুই কর্মকর্তা যে নিকৃষ্ট দুর্নীতিতে লিপ্ত হয়েছেন, তা শুধু আইন লঙ্ঘন নয়, জনমানসে প্রশাসনের প্রতি আস্থা নষ্ট করে।”
তবে আদালত অপর অভিযুক্ত স্বর্ণ ব্যবসায়ী চন্দ্রপ্রকাশ কাট্টাকে অপর্যাপ্ত প্রমাণের ভিত্তিতে বেকসুর খালাস দিয়েছে।
আদালতের বিশদ পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, “প্রশাসনিক ক্ষমতার অপব্যবহার রুখতে এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে শক্ত পদক্ষেপ নিতে হবে। আইনের চোখে সবাই সমান এবং অপরাধীর সামাজিক বা প্রশাসনিক মর্যাদা আইনের আওতার বাইরে নয়।”
প্রায় এক দশক ধরে ঝুলে থাকা এই মামলার নিষ্পত্তি যেমন ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করল, তেমনি সরকারি দফতরে জবাবদিহিতার বার্তাও দিল।
২০১৫ সালে এই দুর্নীতি কাণ্ডে আয়কর দফতরের সুনাম চরমভাবে ক্ষুণ্ণ হয়েছিল। তবে শাস্তির মাধ্যমে বিচার ব্যবস্থার প্রতি জনগণের আস্থা অনেকটাই পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

