জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে ধ্রুবমি স্থির করলেন ধ্রুবেন্দ্র প্রধাণ: “ইংরেজি ঠিক, তাহলে ভারতীয় ভাষা কেন নয়?”

শনিবার আইআইটি মাদ্রাসে ভাষা বিষয়ক বিতর্ক নিয়ে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রী ধ্রুবেন্দ্র প্রধাণ স্পষ্ট বক্তব্য দিলেন। তিনি জাতীয় শিক্ষানীতি এর ভাষা কাঠামো নিয়ে যে অভিযোগ উঠেছে, তাতে কোন নির্দিষ্ট ভাষা শিক্ষার্থীদের ওপর চাপানো হচ্ছে— তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিলেন তিনি।

মন্ত্রীর বক্তব্য, “তামিলনাড়ুর মানুষ ভাষাবিদ। ইংরেজি গ্রহণ করতেও তারা প্রস্তুত। তাহলে অন্য কোনো ভারতীয় ভাষা গ্রহণ করতেও কি সমস্যা আছে?”

এনইপি অনুযায়ী ভাষা শিক্ষার কাঠামো ব্যাখ্যা করে প্রধাণ জানান, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীরা দুইটি ভাষা শিখবে, যার মধ্যে একটি হবে মাতৃভাষা এবং অন্যটি হবে অতিরিক্ত একটি ভাষা। ৬ থেকে ১০ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের তিনটি ভাষা শেখার বাধ্যবাধকতা থাকবে, যার মধ্যে থাকবে মাতৃভাষা এবং আরও দুইটি ভাষা।

সম্প্রতি ডিএমকের সমালোচনার জবাবে প্রধাণ বলেন, “ডিএমকে এই ভাষা ইস্যুকে ঘিরে মানসিক অস্থিরতা তৈরি করছে।” তিনি আরও বলেন, “উত্তর প্রদেশের শিক্ষার্থীরা প্রধানত হিন্দিতে পড়াশোনা করবে, আর অতিরিক্ত ভাষা হিসেবে তারা ইংরেজি, মারাঠি, তামিল বা যেকোনো ভাষা বেছে নিতে পারবে,” যার মাধ্যমে এই নীতির নমনীয়তাও প্রমাণিত হয়।

তিনি ভারতের ভাষাগত বৈচিত্র্যকেও তুলে ধরেন এবং বলেন, “দেশের মাত্র ১০ শতাংশ মানুষ ইংরেজি ভাষায় কথা বলে, বাকিরা নিজেদের স্থানীয় ভাষায় কথা বলেন।”

এক সময়ের অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডুর প্রস্তাবের কথাও স্মরণ করিয়ে দিয়ে প্রধাণ বলেন, “সে সময় তিনি শিক্ষার্থীদের ১০টি ভাষা শেখানোর কথা বলেছিলেন। ভাষাকে বাধা নয়, সুবিধাজনক মাধ্যম হিসেবে দেখা উচিত।”

সমগ্র শিক্ষা অভিযান এর তহবিল বিতরণের বিষয়ে কেন্দ্র থেকে তহবিল মুক্তি না করার প্রসঙ্গে তিনি জানান, “মৌখিক সমঝোতা সই হওয়ার পরেই তহবিল পাঠানো হবে। এটা পারস্পরিক হতে হবে, রাজনৈতিক অগ্রাধিকার চাপিয়ে দেওয়া যাবে না।” মন্ত্রী এই মন্তব্যের মাধ্যমে রাজ্যগুলোর সহযোগিতার গুরুত্ব বোঝাতে চেয়েছেন।

ধ্রুবেন্দ্র প্রধাণের এই মন্তব্য শিক্ষানীতি ও ভাষা বিষয়ক চলমান বিতর্কে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।