অনুপ্রবেশ বন্ধের দাবিতে ত্রিপুরায় আগামী ১৩ অক্টোবর ১২ ঘন্টার বনধ, প্রাক্তন জঙ্গি নেতা তথা তিপরা মথার বিধায়ক রঞ্জিত দেববর্মার নেতৃত্বে আসরে অরাজনৈতিক মঞ্চ ও নাগরিক সমাজ

আগরতলা, ২০ সেপ্টেম্বর : জাতীয় স্বার্থে অনুপ্রবেশ ঠেকানো খুবই জরুরি। কিন্তু অনুপ্রবেশ ইস্যুতে শাসক জোট শরিক তিপরা মথা সম্ভবত রাজ্যের অস্থিরতার পরিবেশ তৈরী হোক চাইছে। তবে কৌশলে অরাজনৈতিক মঞ্চের আড়ালে থাকছে। কারণ, অনুপ্রবেশ বন্ধের দাবিতে প্রাক্তন জঙ্গি নেতা তথা বর্তমানে তিপরা মথার বিধায়ক রঞ্জিত দেববর্মা আগামী ১৩ অক্টোবর ত্রিপুরায় অরাজনৈতিক মঞ্চ ও নাগরিক সমাজের পক্ষে ১২ ঘন্টার বন্ধের ডাক দিয়েছেন। তাতে নিশ্চিত, তিনি ওইদিন গোটা রাজ্যকে স্তব্ধ করে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছেন।

আজ বিধায়ক আবাসে সাংবাদিক সম্মেলনে রঞ্জিত বলেন, কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল অনুপ্রবেশকারীদের শনাক্ত করে স্বদেশে ফেরত পাঠানোর জন্য প্রশাসনিক অভিযান শুরু করা হোক। কিন্তু এখনো পর্যন্ত ত্রিপুরা সরকার এই নির্দেশিকা লাগু করেনি। ফলে, প্রতিনিয়তই রাজ্যের সীমান্ত এলাকা ব্যবহার করে অনুপ্রবেশ অব্যাহত রয়েছে।

তাঁর দাবি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বিজ্ঞপ্তিতে শরণার্থীদের ভ্রমণ সংক্রান্ত নথির বাধ্যবাধকতা থেকে ছাড় দেওয়া হয়েছে। গত বছর কার্যকর হওয়া সিএএ অনুযায়ী, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর বা তার আগে যাঁরা ধর্মীয় নির্যাতনের শিকার হয়ে ভারতে এসেছেন, সেই সমস্ত নির্দিষ্ট সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর মানুষ ভারতীয় নাগরিকত্বের যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। নতুন নির্দেশ অনুযায়ী, ২০২৪ সালের শেষ অবধি যাঁরা ভারতে এসেছেন, তাঁদের নথিপত্র বৈধ না হলেও অপরাধী হিসেবে গণ্য করা হবে না। এই নতুন নির্দেশিকার ফলে রাজ্যে অনুপ্রবেশ রুখা সম্ভব হবে না।

এদিন তিনি আরও বলেন, বেশ কিছুদিন আগে আমবাসা, বিলেনিয়ায় অনুপ্রবেশকারীদের আটক করা হয়েছে। তাছাড়া, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রাজ্য সফরের প্রাক্কালে উদয়পুরে পাঁচজন বাংলাদেশী নাগরিককে আটক করেছে পুলিশ। এবিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, পুলিশ ও বিএসএফ অনুপ্রবেশকারী রুখতে সর্বদা সজাগ রয়েছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে পুলিশ ও বিএসএফের চোখে ধুলো নিয়ে বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা দিয়ে প্রতিনিয়ত অনুপ্রবেশ হচ্ছে। তাই ১৩ অক্টোবর অরাজনৈতিক মঞ্চ ও নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে রাজ্যে ১২ ঘণ্টার বনধের ডাক হয়েছে।