জিএসটি সংস্কারে উপকৃত হবেন সাধারণ মানুষ: তুতিকোরিনে জানালেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন

তুতিকোরিন , ২০ সেপ্টেম্বর : কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন আজ বলেন, দেশের সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে পণ্য ও পরিষেবা কর কাঠামোতে সংস্কার আনা হয়েছে। তুতিকোরিন জেলার কোভিলপট্টিতে দেশীয় ম্যাচ ও আতসবাজি প্রস্তুতকারক সমিতির শতবর্ষ উদ্‌যাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন।

অর্থমন্ত্রী জানান, ২০৪৭ সালের মধ্যে বিকসিত ভারত গঠনের লক্ষ্যে কেন্দ্র সরকার দীর্ঘমেয়াদী দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কাজ করছে। আতসবাজি ও দেশীয় ম্যাচ প্রস্তুতকারকদের সবরকম সহায়তা প্রদান করা হবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি।

তিনি বলেন, আগামী ২২ সেপ্টেম্বর থেকে হ্রাসপ্রাপ্ত জিএসটি হারের কারণে সাধারণ মানুষ অনেক পণ্য কম দামে কিনতে পারবেন। উৎসবের মরসুমে এই সুবিধা সাধারণ মানুষের উপকারে আসবে। অর্থমন্ত্রী জানান, মোট ৩৭৫টি পণ্যের উপর জিএসটি হ্রাস করা হয়েছে।

উপভোক্তা বিষয়ক দপ্তর জানিয়েছে, ন্যাশনাল কনজ্যুমার হেল্পলাইন-এ জিএসটি বিষয়ক অভিযোগ জানানোর সুবিধা চালু করা হয়েছে। ইন্টিগ্রেটেড গ্রিভান্স রিড্রেসাল মেকানিজম পোর্টালেও বিশেষ বিভাগ চালু করা হয়েছে, যেখানে সংশোধিত জিএসটি হার কার্যকর হওয়ার পর ভোক্তাদের প্রশ্ন ও অভিযোগ গ্রহণ করা হবে।

এই বিভাগে প্রধান উপ-শ্রেণিগুলি হল: অটোমোবাইল, ব্যাঙ্কিং, কনজিউমার ডিউরেবলস, ই-কমার্স, এফএমসিজি ইত্যাদি, যেখানে জিএসটি সংক্রান্ত সমস্যাগুলি নিবন্ধন করা যাবে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে সরকার ভোক্তাদের সক্রিয় অংশীদার করে স্বচ্ছ বাজার ব্যবস্থার দিকে আরও এক ধাপ এগোচ্ছে।

ভোক্তারা এখন টোল-ফ্রি নম্বর ১৯১৫-এ ফোন করে অথবা ইনগ্রাম পোর্টাল-এর মাধ্যমে ১৭টি ভাষায় অভিযোগ জানাতে পারবেন। ন্যাশনাল কনজ্যুমার হেল্পলাইন ইতিমধ্যেই দেশের ভোক্তাদের কাছে বিচারপূর্ব স্তরে অভিযোগ জানানোর একক প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠেছে।

জিএসটি হ্রাসের সুফল সাধারণ মানুষ যাতে সরাসরি পান, তা নিশ্চিত করতে ভারতীয় রেল ঘোষণা করেছে যে ট্রেন ও রেলস্টেশন চত্বরে বিক্রি হওয়া প্যাকেজড পানীয় জলের দাম কমানো হচ্ছে।

আগামী ২২ সেপ্টেম্বর থেকে ১ লিটারের বোতলের দাম ১৫ থেকে কমিয়ে ১৪ করা হয়েছে। ৫০০ মিলিলিটারের বোতলের দাম ১০ থেকে কমিয়ে ৯ করা হয়েছে। এই দাম ‘রেল নীর’ সহ অন্যান্য ব্র্যান্ডের বোতলের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।

রেল মন্ত্রকের এই পদক্ষেপ সরাসরি ভোক্তাদের লাভ দেবে এবং উৎসবের আগে জিএসটি সংস্কারের সুফল সাধারণ মানুষকে পৌঁছে দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এই সংযোজিত পদক্ষেপগুলি স্পষ্টভাবে দেখায় যে কেন্দ্র সরকার শুধু কর ব্যবস্থা সংস্কার করছে না, বরং তার প্রত্যক্ষ সুফলও জনগণের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে। “ভিকসিত ভারত ২০৪৭” লক্ষ্যপূরণে এইসব পদক্ষেপ গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।