নয়াদিল্লি, ১৬ সেপ্টেম্বর : আজ নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত হলো দ্বিতীয় জাতীয় অ্যান্টি-নারকোটিক্স টাস্ক ফোর্স সম্মেলন। এই সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। দুই দিনব্যাপী এই কনফারেন্সে দেশের ৩৬টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের এএনটিএফ প্রধানরা ছাড়াও একাধিক সরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করছেন।
উদ্বোধনী ভাষণে অমিত শাহ জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর “মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স” নীতিকে সামনে রেখে সারা দেশে চলছে ড্রাগ-মুক্ত ভারত অভিযান। বর্তমানে এই ক্যাম্পেইন দেশের ৩৭২টি জেলায় চলছে, যেখানে ১০ কোটি নাগরিক এবং ৩ লক্ষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যুক্ত হয়েছে। তিনি বলেন, “এই অভিযান প্রতিটি জেলায় ছড়িয়ে দিতে হবে এবং দেশের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এর সঙ্গে যুক্ত করতে হবে।”
মন্ত্রী আরও বলেন, “মাদক বিরোধী লড়াইয়ে সাফল্য পেতে হলে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের সমস্ত বিভাগকে একযোগে কাজ করতে হবে।”
অমিত শাহ জানিয়েছেন, মাদকের বিরুদ্ধে লড়াই শুধু রাস্তার ধারে খুচরো বিক্রেতাদের ধরার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এটি তিনটি স্তরের মাফিয়া চক্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ—এক, দেশের প্রবেশপথ দিয়ে যাঁরা মাদক প্রবেশ করায়, দুই, সেই মাদক রাজ্যে রাজ্যে পরিবহণ করে যাঁরা পৌঁছে দেয় এবং তিন, স্থানীয় পর্যায়ে যারা খুচরো বিক্রি করে।
মন্ত্রী বলেন, “ড্রাগ ব্যবসার সঙ্গে সন্ত্রাস এবং অন্যান্য অপরাধও ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তাই এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত বিদেশে বসবাসকারী অপরাধীদেরও ভারতের আইনের আওতায় আনা জরুরি।”
তিনি এ-ও বলেন, “২০২৪ সালের নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে এবং অনলাইন ড্রাগ ডিসপোজাল ক্যাম্পেইনেরও সূচনা করা হয়েছে।”
এই সম্মেলনে মোট আটটি কারিগরি সেশন অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য সেশনগুলি হল — “ড্রাগ ফ্রি ইন্ডিয়া @২০৪৭”, “তদন্ত ও বিচারে কার্যকারিতা বৃদ্ধি”, এবং “চক্র ও মাফিয়া নেটওয়ার্ক ধ্বংসকরণ”।
এই সম্মেলনের থিম হল — ইউনাইটেড রিসোলভ, শেয়ারড রেসপন্সিবিলিটি অর্থাৎ “ঐক্যবদ্ধ সংকল্প, যৌথ দায়িত্ব”।
অমিত শাহ তাঁর বক্তব্যে যুবসমাজকে মাদকের ছোবল থেকে রক্ষা করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং বলেন, “২০৪৭ সালের মধ্যে বিকশিত ভারত গড়ার স্বপ্ন পূরণ করতে হলে যুব সমাজকে রক্ষা করা আমাদের প্রধান কর্তব্য।”

