পূজার মুখে ফের কর্মচারীদের দাবি দাওয়া নিয়ে সরব বাম শিক্ষক-কর্মচারী সংগঠনের নেতৃত্ব

আগরতলা, ১৩ সেপ্টেম্বর : পূজার মুখে ফের কর্মচারীদের দাবি দাওয়া নিয়ে সরব বাম শিক্ষক-কর্মচারী সংগঠনের নেতৃত্বরা। আগামীকাল পশ্চিম ত্রিপুরা এবং দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলায় কর্মচারীদের বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়ে গণঅবস্থানে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ত্রিপুরা কর্মচারী সমম্বয় কমিটি। আজ সাংবাদিক সম্মেলনে এমনটাই জানিয়েছেন সংগঠনের নেতৃত্বরা।

তাঁদের দাবিগুলো হল, বিভিন্ন দপ্তরের শূন্য পদ গুলিতে প্রয়োজনীয় শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগ করতে হবে। শিক্ষক কর্মচারীদের পূর্বের মতো বছরে দুইবার (১লা জুলাই, ১লা জানুয়ারী) ডি.এ দিতে হবে। বকেয়া ২৩ শতাংশ অতিসত্ত্বর প্রদান করা, প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কেন্দ্রীয় সপ্তম বেতন কমিশনের সুপারিশ কার্যকর করা, গ্র্যাচুয়িটি ১০ লক্ষ টাকার পরিবর্তে ২০ লক্ষ টাকা দেওয়া, ডাই-ইন- হারনেস্ প্রকল্পে পূর্বের মত রুলস চালু করা,
ফিক্সড পে নিয়োগের ক্ষেত্রে টি.আর. বি.টি.জে. আর.বি.টি দ্বারা নির্বাচিত শিক্ষক কর্মচারীদের চাকুরির প্রথম দিন থেকে নিয়মিত বেতনক্রম দেওয়া, এড হক প্রমোশনের সমস্ত জটিলতা দূর করে প্রতিটি দপ্তরে পদোন্নতির ব্যবস্থা করা হোক।

পাশাপাশি, টিটিএএডিসিতে কর্মরত সমস্ত অংশের কর্মচারীদের একেই হারে এবং একই সময়ে ডি এ সহ আর্থিক সুবিধা দেওয়া, রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি শক্তিশালী করে গণতান্ত্রিক পরিবেশ রক্ষা করতে হবে, নেশা কারবারি ও নেশা পাচারের সঙ্গে যুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা, ১০৩২৩ চাকুরী চ্যুত শিক্ষকদের অবিলম্বে বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা, মৃত ১৯১ জন শিক্ষকের পরিবারে একজন সদস্যকে সরকারি চাকুরি দেওয়া,

তাছাড়া, তাঁরা আরও দাবি জানিয়েছে, বিদ্যাজ্যোতির নামে সরকারি বিদ্যালয়গুলোতে বৈষম্যমূলক শিক্ষা মানছি না। ছাত্রসংখ্যা কম অজুহাতে বিদ্যালয় বন্ধ করা চলবে না, ত্রিপুরা রাজ্য বিদ্যুৎ নিগম লিমিটেডের কর্মচারীদের সার্ভিস রুল চালু করা, অবিলম্বে গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি পদে কর্মরত বিভিন্ন স্তরের কর্মীদের পদোন্নতির ব্যবস্থা করা, মুখ্যমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনার গাইডলাইন প্রকাশ করা সহ একাধিক দাবি জানিয়েছেন।