আঙ্কারা, ১৩ সেপ্টেম্বর: তুরস্কে দুর্নীতির অভিযোগে প্রধান বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টি -র বিরুদ্ধে দমনপীড়ন আরও জোরদার হয়েছে। শনিবার ইস্তানবুলের বাইরামপাশা জেলার মেয়র হাসান মুতলুসহ ৪৭ জন পৌর কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে গ্রেফতার করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আনাদোলু জানায়, ঘুষ, জালিয়াতি, টেন্ডার দুর্নীতি ও চাঁদাবাজির অভিযোগে এই গ্রেফতার।
ইস্তানবুলের প্রধান কৌঁসুলির দপ্তর থেকে জারি হওয়া তদন্ত নির্দেশে এই গ্রেফতারগুলি হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। তদন্তের মূল কেন্দ্রে রয়েছে বাইরামপাশা পৌরসভা।
মেয়র হাসান মুতলু গ্রেফতারের পর এক্স-এ দেওয়া এক বিবৃতিতে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন,”যা ঘটছে তা একটি রাজনৈতিক অপারেশন ছাড়া কিছু নয়। এগুলি ভিত্তিহীন অপবাদ। বাইরামপাশার সম্মানিত নাগরিকদের সঙ্গে নিয়ে আমরা এই অপবাদ ও অনৈতিকতার বিরুদ্ধে লড়াই করব এবং জয়ী হব।”
গত কয়েক মাসে সিএইচপি-র অন্তত এক ডজনের বেশি মেয়র এবং শতাধিক পৌরসভা কর্মচারী দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছেন ইস্তানবুল মহানগরের মেয়র এবং বর্তমান প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী একরেম ইমামোগলুও।
ইমামোগলুর গ্রেফতারকে কেন্দ্র করে তুরস্কজুড়ে ব্যাপক প্রতিবাদ-বিক্ষোভ দেখা দেয়। সিএইচপি দাবি করেছে, এই সব গ্রেফতার এবং দুর্নীতির অভিযোগ আসলে সরকারের একটি পরিকল্পিত অভিযান, যার উদ্দেশ্য বিরোধী দলকে দুর্বল করা এবং এরদোয়ানের জন্য আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পথ প্রশস্ত করা।
তবে সরকার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। সরকারি তরফে বলা হয়েছে, তুরস্কের বিচার ব্যবস্থা স্বাধীন এবং তারা আইন অনুযায়ী কাজ করছে।
এই পরিস্থিতির মধ্যেই আগামী সোমবার একটি গুরুত্বপূর্ণ মামলার শুনানি হতে চলেছে, যেখানে সিএইচপি-র ২০২৩ সালের কংগ্রেস বাতিলের বিষয়ে আদালত রায় দিতে পারে। যদি কংগ্রেস বাতিল হয়, তাহলে দলের নেতৃত্ব বদল হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল এবং সিএইচপি-র মধ্যে অভ্যন্তরীণ সংকট দেখা দিতে পারে।
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের স্থানীয় নির্বাচনে সিএইচপি উল্লেখযোগ্য সাফল্য পেয়েছিল, যা শাসক দল একেপি-র জন্য একটি বড় ধাক্কা ছিল।
———-

