নয়াদিল্লি, ১০ সেপ্টেম্বর: নবনির্বাচিত উপরাষ্ট্রপতি সিপি রাধাকৃষ্ণন তাঁর বিজয়কে জাতীয়তাবাদী মতাদর্শের জয় হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন এবং ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতকে একটি উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বী বি সুদর্শন রেড্ডিকে ১৫২ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন। রাধাকৃষ্ণন পান ৪৫২টি ভোট, যেখানে সুদর্শন রেড্ডির প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা ৩০০।
জয়লাভের পর প্রথম প্রতিক্রিয়ায় রাধাকৃষ্ণন বলেন, “বিরোধীরা এই নির্বাচনকে আদর্শগত লড়াই বলেছিল। কিন্তু ভোটের ফলাফলে স্পষ্ট, জাতীয়তাবাদী মতাদর্শই জনসমর্থন পেয়েছে।” তিনি বলেন, এটি প্রতিটি ভারতীয়র জয়, এবং ভারতকে ২০৪৭ সালের মধ্যে একটি উন্নত রাষ্ট্রে রূপান্তর করতে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্রে শাসক দল ও বিরোধী দল—দুটিই গুরুত্বপূর্ণ, যাদের উপস্থিতি একে অপরের পরিপূরক। “গণতন্ত্রের স্বার্থে উভয় পক্ষের ভূমিকা অপরিহার্য,” মন্তব্য করেন তিনি।
রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ ও ভারতীয় জনতা পার্টির ঘনিষ্ঠ এই রাজনীতিক দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক অভিজ্ঞতা নিয়ে রাজ্যসভার কার্যনির্বাহী চেয়ারপারসন পদে দায়িত্ব গ্রহণ করতে যাচ্ছেন। শান্ত স্বভাবের ও সংঘর্ষবিমুখ নেতা হিসেবে পরিচিত ৬৭ বছর বয়সী রাধাকৃষ্ণন সদ্য পদত্যাগী উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখরের স্থলাভিষিক্ত হবেন। ধনখর ২১ জুলাই স্বাস্থ্যগত কারণে পদত্যাগ করেন।
রাধাকৃষ্ণনের জয় প্রায় নিশ্চিত ছিল, কারণ ক্ষমতাসীন জোটের সংসদীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা তার পক্ষে ছিল। তিনি তামিলনাড়ুর তৃতীয় ব্যক্তি যিনি ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদ অলংকৃত করতে চলেছেন।
রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাধাকৃষ্ণনকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, তাঁর দশকের পর দশকের অভিজ্ঞতা দেশের অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে, সাংবিধানিক মূল্যবোধকে সুদৃঢ় করবে এবং সংসদীয় চর্চাকে আরও সমৃদ্ধ করবে।
রাধাকৃষ্ণন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা বার্তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। অন্যদিকে, পরাজিত প্রার্থী বি সুদর্শন রেড্ডি ফলাফল মেনে নিয়ে রাধাকৃষ্ণনকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান এবং তাঁর নতুন দায়িত্বের জন্য শুভকামনা জানান।

