নয়াদিল্লি, ৭ সেপ্টেম্বর:সমবায় খাতকে শক্তিশালী করতে ও গ্রামীণ অর্থনীতিকে উৎসাহিত করতে কেন্দ্র সরকার সম্প্রতি যে ব্যাপক জিএসটি সংস্কার কার্যকর করেছে, তা দেশের ১০ কোটিরও বেশি দুগ্ধচাষী ও লক্ষাধিক গ্রামীণ উদ্যোক্তাকে প্রত্যক্ষভাবে উপকৃত করবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সমবায় মন্ত্রক।
এক বিবৃতিতে মন্ত্রক জানিয়েছে, এই “নেক্সট জেনারেশন” জিএসটি সংস্কারগুলি সমবায় খাতের পণ্যের প্রতিযোগিতামূলক ক্ষমতা বাড়াবে, চাহিদা বৃদ্ধি করবে, এবং তাদের আয় বৃদ্ধি করবে। সেই সঙ্গে, গ্রামীণ উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করবে, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে সমবায়গুলোর অংশগ্রহণ বাড়াবে এবং লক্ষ লক্ষ পরিবারের জন্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের সাশ্রয়ী মূল্যে প্রাপ্তি নিশ্চিত করবে।
দুগ্ধখাতে, দুধ ও পনির—ব্র্যান্ডেড হোক বা নন-ব্র্যান্ডেড—এর উপর সম্পূর্ণ জিএসটি মকুব করা হয়েছে। মাখন, ঘি ও অনুরূপ পণ্যের উপর করের হার ১২% থেকে কমিয়ে ৫% করা হয়েছে। দুধ রাখার জন্য ব্যবহৃত লোহার, স্টিল বা অ্যালুমিনিয়ামের ক্যানের উপর জিএসটি ১২% থেকে কমিয়ে ৫% করা হয়েছে।
এই পদক্ষেপগুলি দুগ্ধখাতের পণ্যকে আরও প্রতিযোগিতামূলক করে তুলবে, দুগ্ধচাষীদের সরাসরি স্বস্তি দেবে, এবং বিশেষত স্বনির্ভর গোষ্ঠী পরিচালিত নারী নেতৃত্বাধীন গ্রামীণ উদ্যোগগুলিকে শক্তিশালী করবে। সাশ্রয়ী মূল্যের দুগ্ধজাত পণ্য ঘরোয়া পুষ্টির নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে এবং সমবায়গুলোর আয় বৃদ্ধি করবে।
১৮০০ সিসির নিচের ট্র্যাক্টরের উপর জিএসটি ১২% থেকে কমিয়ে ৫% করা হয়েছে, যার ফলে এই ট্র্যাক্টরগুলি চাষি ও পশুপালকদের জন্য আরও সাশ্রয়ী হবে। এছাড়া, গুরুত্বপূর্ণ সার উপাদান যেমন অ্যামোনিয়া, সালফিউরিক অ্যাসিড ও নাইট্রিক অ্যাসিডের উপর জিএসটি ১৮% থেকে কমিয়ে ৫% করা হয়েছে। এর ফলে সার প্রস্তুতকারক সংস্থার উৎপাদন খরচ কমবে, কৃষকদের ওপর দাম বৃদ্ধির চাপ কমবে এবং বপন মৌসুমে সময়মতো সাশ্রয়ী মূল্যের সার পাওয়া নিশ্চিত হবে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে গৃহীত এই সংস্কারগুলিকে দেশের সমগ্র দুগ্ধ সমবায় খাত স্বাগত জানিয়েছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রক। বড় বড় সমবায় ব্র্যান্ডগুলিও এই পদক্ষেপকে ইতিবাচক বলে উল্লেখ করেছে।

