নয়াদিল্লি, ৬ সেপ্টেম্বর : কেন্দ্রের আনা নতুন জিএসটি সংস্কার ২২ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হতে চলেছে। এই সংস্কারের ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে করের বোঝা উল্লেখযোগ্যভাবে কমবে এবং মধ্যবিত্ত পরিবারকে স্বস্তি দেবে। জিএসটি কাউন্সিল কর কাঠামোকে সহজ করে আগের চার স্তরের পরিবর্তে এখন দুটি স্তর—৫ শতাংশ ও ১৮ শতাংশে নামিয়ে এনেছে।
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পনির, ছেনা এবং আল্ট্রা হাই টেম্পারেচার মিল্কে কোনো কর থাকবে না, যেখানে আগে ৫ শতাংশ জিএসটি প্রযোজ্য ছিল। একইভাবে মাখন, ঘি এবং চিজে কর ১২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। দুধের ক্যান, যা আগে ১২ শতাংশ জিএসটির আওতায় ছিল, এখন সেগুলিতে কর কমে দাঁড়াবে ৫ শতাংশে। এছাড়া স্বাস্থ্যকর বিকল্প হিসেবে জনপ্রিয় প্লান্ট-বেসড মিল্ক বেভারেজেও কর ১৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে।
ওষুধ, সাবান, গাড়ি এবং এমনকি আইপিএল টিকিটেও কর কমানো হয়েছে, যা ভোক্তাদের আর্থিক সাশ্রয় করবে। এই সিদ্ধান্তকে “অত্যন্ত ইতিবাচক” বলে মন্তব্য করেছেন গুজরাট কো-অপারেটিভ মিল্ক মার্কেটিং ফেডারেশনের এমডি জয়েন মেহতা। তাঁর মতে, কর হ্রাসে ভোক্তাদের খরচ বাড়বে এবং উৎপাদকরা আরও বড় বাজারে পৌঁছতে পারবেন।
সরকারের দাবি, এই সংস্কারের ফলে দেশের ৮ কোটি গ্রামীণ দুগ্ধচাষী পরিবার সরাসরি উপকৃত হবে, বিশেষ করে ছোট, প্রান্তিক ও ভূমিহীন কৃষক যারা গরু-মহিষ পালন করে জীবিকা নির্বাহ করেন। একই সঙ্গে এই উদ্যোগে দুগ্ধশিল্প ও গ্রামীণ অর্থনীতি শক্তিশালী হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

