নয়াদিল্লি, ৪ সেপ্টেম্বর: : জিএসটি কাউন্সিলের সর্বসম্মতিক্রমে বুধবার ঘোষণা করা হয়েছে একগুচ্ছ নতুন প্রজন্মের জিএসটি সংস্কার। এই সংস্কারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলির মধ্যে অন্যতম হল, স্বাস্থ্য ও জীবন বিমার উপর থেকে সম্পূর্ণভাবে জিএসটি তুলে দেওয়া। এতদিন এই পরিষেবাগুলির উপর ১৮ শতাংশ হারে কর ধার্য ছিল, যা এখন শূন্য করের আওতায় আনা হয়েছে। এর ফলে স্বাস্থ্য ও জীবন বিমা সাধারণ মানুষের জন্য আরও সাশ্রয়ী ও সহজলভ্য হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
স্বাস্থ্যসেবার খরচ কমাতে সরকার বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা সামগ্রীর ওপর জিএসটি হ্রাস করেছে। থার্মোমিটার, চিকিৎসা মানের অক্সিজেন, সমস্ত ধরণের ডায়াগনস্টিক কিট ও রিএজেন্ট, গ্লুকোমিটার ও টেস্ট স্ট্রিপ, সংশোধনমূলক চশমা-এর উপর কর ১২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। পাশাপাশি, সাধারণ মানুষের ব্যবহৃত নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য যেমন চুলের তেল, শ্যাম্পু, টুথপেস্ট, সাবান, টুথব্রাশ এবং শেভিং ক্রিম-এর উপর জিএসটি ১৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে।
খাদ্যপণ্যগুলির মধ্যে, বাটার, ঘি, চিজ, ডেইরি স্প্রেড, প্রিপ্যাকেটেড নমকিন, ভুজিয়া ও মিশ্রণের উপর জিএসটি হার ১২ শতাংশ থেকে কমে ৫ শতাংশ হয়েছে। একইসঙ্গে বাসনপত্র, শিশুর খাওয়ানোর বোতল, বেবি ন্যাপকিন এবং ক্লিনিক্যাল ডায়াপারের উপরেও ৫ শতাংশ জিএসটি ধার্য করা হয়েছে।
এই সংস্কারের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এক্স-এ একটি পোস্টে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, “স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে আমি নেক্সট-জেনারেশন জিএসটি সংস্কারের কথা বলেছিলাম। সেই উদ্দেশ্য সফল হয়েছে। জিএসটি কাউন্সিল ইউনিয়ন সরকারের প্রস্তাবসমূহ সর্বসম্মতভাবে গ্রহণ করেছে। এই সংস্কার সাধারণ মানুষ, কৃষক, এমএসএমই, মধ্যবিত্ত, মহিলা ও যুব সমাজের জন্য সুফল বয়ে আনবে।” তিনি আরও বলেন, এই সংস্কারগুলি দেশের অর্থনীতিকে আরও মজবুত করবে এবং ছোট ব্যবসায়ীদের জন্য ব্যবসা পরিচালনা সহজ করবে।
জিএসটি কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত, কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার উভয়ের সম্মতিতে গৃহীত হয়েছে। সরকার বলছে, এই সংস্কারগুলি শুধু কর কাঠামোকে সরল করবে না, বরং ব্যবসার ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও গতিশীলতা আনবে। একইসঙ্গে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মানও উন্নত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

