টেলিভিশন অভিনেত্রী প্রিয়া মারাঠে প্রয়াত, ক্যানসারের সঙ্গে দীর্ঘ লড়াইয়ের পর মৃত্যু

মুম্বই, ৩১ আগস্ট : প্রখ্যাত টেলিভিশন এবং মারাঠি চলচ্চিত্র জগতের জনপ্রিয় অভিনেত্রী প্রিয়া মারাঠে আজ মুম্বইয়ে প্রয়াত হয়েছেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল মাত্র ৩৮ বছর। সূত্র অনুযায়ী, গত এক বছর ধরে তিনি ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করছিলেন।

মহারাষ্ট্র টাইমস-এর একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, অভিনেত্রী চিকিৎসাধীন ছিলেন এবং নিয়মিত থেরাপি নিচ্ছিলেন, কিন্তু তাঁর শারীরিক অবস্থার ক্রমাগত অবনতি হতে থাকে। শেষপর্যন্ত আজ সকালে মুম্বইয়ের মীরা রোডে নিজের বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

চিকিৎসার সময় অভিনেত্রী নিজেকে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে অনেকটাই বিচ্ছিন্ন রেখেছিলেন। তাঁর শেষ ইনস্টাগ্রাম পোস্ট ছিল ২০২৪ সালে, যেখানে তিনি স্বামী এবং অভিনেতা শান্তনু মোঘের সঙ্গে রাজস্থানের আম্বের ফোর্টে ভ্রমণের ছবি শেয়ার করেছিলেন। দ্বিতীয় শেষ পোস্টে তাঁকে নওয়াড়ি শাড়ি ও নথ পরে দেখা যায়, যা তাঁর সাংস্কৃতিক মেজাজকে তুলে ধরেছিল।

১৯৮৭ সালের ২৩ এপ্রিল মুম্বইয়ে জন্মগ্রহণ করেন প্রিয়া মারাঠে। তিনি ‘পবিত্র সম্পর্ক’ ধারাবাহিকে ‘বর্ষা’ চরিত্রে অভিনয় করে ঘরে ঘরে পরিচিত হয়ে উঠেছিলেন। এছাড়াও ‘কসম সে’ তে বিদ্যা বালি এবং ‘বড়ে অচ্ছে লাগে হ্যায়’ তে জ্যোতি মালহোত্রার চরিত্রে তাঁর অভিনয় দর্শকদের প্রশংসা কুড়িয়েছিল।

শুধু ধারাবাহিকেই নয়, স্ট্যান্ড-আপ কমেডির মঞ্চেও নিজের প্রতিভার সাক্ষর রেখেছেন প্রিয়া। ‘কমেডি সার্কাস’-এর প্রথম সিজনে তিনি অংশ নিয়েছিলেন। তাঁর অভিনীত অন্যান্য জনপ্রিয় ধারাবাহিকের মধ্যে রয়েছে ‘চার দিবस सासुचे’, ‘তু তিথে মি’, ‘স্বরাজ্যরক্ষক সম্ভাজি’, ‘সাথ নিভানা সাথিয়া’, ‘তুজেছ মি গীত গাত আহে’, ‘ভাগে রে মন’, ‘জয়স্তুতে’, এবং ‘ভারত কা বীর পুত্র – মহারানা প্রতাপ’।

২০২৩ সালে তিনি শারীরিক অসুস্থতার কারণে ‘তুজেছ মি গীত গात আহে’ শো থেকে সরে আসেন এবং তারপর থেকেই মূলত প্রকাশ্যে আসা বন্ধ করে দেন। এই সময় থেকেই অনেকে ধারণা করেছিলেন যে তিনি ক্যানসারে আক্রান্ত।

তাঁর আকস্মিক মৃত্যুতে টেলিভিশন ও মারাঠি ইন্ডাস্ট্রিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সহকর্মী ও ভক্তরা সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন। প্রিয়া মারাঠের অকালপ্রয়াণ ভারতীয় বিনোদন জগতের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি।