ইসরো-জাকসার যৌথ মহাকাশ মিশন: ভারত ও জাপানের স্টার্টআপ এবং শিল্পখাতের সহযোগিতার নতুন দিগন্ত খুলবে, জানালেন প্রধানমন্ত্রী মোদী

টোকিও, ২৯ আগস্ট: ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো এবং জাপানের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা জাকসা-র যৌথ মহাকাশ অভিযান দুই দেশের শিল্প প্রতিষ্ঠান ও স্টার্টআপগুলির মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়াবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

জাপানের জনপ্রিয় সংবাদপত্র ‘দ্য ইয়োমিউরি শিমবুন’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ইসরো ও জাকসার মধ্যে সরকার-স্তরের সহযোগিতা আমাদের শিল্প ও স্টার্টআপদের মধ্যে এক নতুন সংস্কৃতির জন্ম দিচ্ছে। এখানে উদ্ভাবনের প্রবাহ চলছে ল্যাব থেকে লঞ্চপ্যাড পর্যন্ত, গবেষণা থেকে বাস্তব প্রয়োগ পর্যন্ত।”

তিনি আরও বলেন, “আমি আনন্দিত যে চন্দ্রযান সিরিজের পরবর্তী অধ্যায়, অর্থাৎ লুপ্ত অঞ্চল অনুসন্ধান মিশনে ভারত ও জাপান একসঙ্গে কাজ করছে। এই যৌথ অভিযান চাঁদের দক্ষিণ মেরুর স্থায়ী ছায়াচ্ছন্ন অঞ্চলগুলিকে ভালোভাবে বুঝতে আমাদের সাহায্য করবে।”

জাকসা একটি রোভার এবং ইসরো একটি ল্যান্ডার নির্মাণ করবে। লক্ষ্য থাকবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে বরফাকৃতির জল অনুসন্ধান ও বিশ্লেষণ করা।

প্রধানমন্ত্রী মোদী আশাবাদী যে, “আমাদের বৈজ্ঞানিক দল একসঙ্গে কাজ করে মহাকাশ বিজ্ঞানের নতুন দিগন্তে পৌঁছাবে। এই অংশীদারিত্ব কেবল আমাদের ঊর্ধ্বাকাশের দিগন্তই প্রসারিত করবে না, বরং আমাদের চারপাশের জীবনকেও উন্নত করবে।”

ভারতের মহাকাশ অভিযানের প্রশংসা করে মোদী বলেন, “এটা আমাদের বিজ্ঞানীদের অধ্যবসায়, কঠোর পরিশ্রম ও উদ্ভাবনের গল্প। মহাকাশ এখন আর শেষ সীমা নয়, এটি আমাদের পরবর্তী সীমান্ত।”

তিনি আরও উল্লেখ করেন, মহাকাশ বিজ্ঞানের প্রভাব এখন কৃষি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, যোগাযোগ সহ নানান ক্ষেত্রে পড়ছে — যা আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রার অগ্রগতিকে ত্বরান্বিত করছে।

প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী মোদী বর্তমানে জাপানে দু’দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে রয়েছেন (২৯-৩০ আগস্ট), জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা-র আমন্ত্রণে। এটি মোদীর জাপান সফরের অষ্টম বার। এর আগে তিনি ২০২৩ সালের মে মাসে জাপান সফর করেছিলেন।