আইএমডি-র পূর্বাভাস: আগামীকাল পর্যন্ত একাধিক রাজ্যে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা

নয়াদিল্লি, ২৫ আগস্ট: ভারতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তর আগামীকাল পর্যন্ত উত্তর-পশ্চিম ভারতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে। গুজরাট, ওডিশা, রাজস্থান এবং উত্তরাখণ্ডের একাধিক অঞ্চলে পৃথকভাবে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। এ ছাড়া আইএমডি ওই রাজ্যগুলির জন্য ‘অরেঞ্জ অ্যালার্ট’ জারি করেছে।

আজকের মধ্যে আরও যেসব রাজ্যে বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে সেগুলি হল: অরুণাচল প্রদেশ, অসম, মেঘালয়, বিহার, ছত্তিশগড়, উপকূলীয় অন্ধ্রপ্রদেশ, হরিয়ানা, পাঞ্জাব, দিল্লি, হিমাচল প্রদেশ, জম্মু ও কাশ্মীর, লাদাখ, গিলগিট-বালতিস্তান, মুজাফ্‌ফরাবাদ, উত্তরপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড, কোঙ্কণ ও গোয়া, মধ্যপ্রদেশ, উপ-হিমালয় পশ্চিমবঙ্গ এবং সিকিম।

আগামী দুই দিন ধরে এই অঞ্চলগুলিতে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গেও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এর মধ্যেই আজ সকালে দিল্লি-এনসিআর অঞ্চলে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি ও বজ্রঝড় দেখা গেছে।

হিমাচল প্রদেশের একাধিক জেলায় প্রবল বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। রাজ্যের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র জানিয়েছে, ভূমিধসের কারণে অন্তত দু’টি জাতীয় সড়ক এবং ৪৮২টি রাস্তা বন্ধ হয়ে পড়েছে। একই সঙ্গে ৯৪১টি ট্রান্সফর্মার এবং ৯৫টি পানীয় জল প্রকল্প ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ৩০ আগস্ট পর্যন্ত ভারী বৃষ্টি চলবে রাজ্যে।

বিহারের নালন্দা ও জেহানাবাদ জেলায় বন্যা পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হয়েছে। গত রাতে হঠাৎ জলস্ফীতির কারণে বহু গ্রাম প্লাবিত হয়েছিল, তবে লোকায়ন, ফল্গু ও অন্যান্য ঋতুকালীন নদীর জলস্তর হ্রাস পেতে শুরু করায় কিছুটা স্বস্তি মিলেছে। তবে গয়া জেলায় প্রবল বৃষ্টির কারণে মুহানে ও ফল্গু নদীর জলস্তর আবারও বেড়ে যাওয়ায় নতুন করে বেশ কয়েকটি নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

বন্যা কবলিত এলাকাগুলিতে জেলা প্রশাসন ত্রাণকার্য জোরদার করেছে। বোধগয়ায় চালু হয়েছে কমিউনিটি কিচেন, যেখানে দুর্গতদের রান্না করা খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে।

নালন্দার হিলসা ও একঙ্গর সরাই এবং জেহানাবাদের হুলাসগঞ্জ ও ঘোসি ব্লকে কৃষি জমির মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। নদীর ধারে দুর্বল হয়ে পড়া বাড়িগুলিতে ধসের আশঙ্কা থাকায় বাসিন্দাদের ওইসব বাড়িতে না ফেরার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।