নয়াদিল্লি, ২৫ আগস্ট : প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর শিক্ষাগত যোগ্যতা সংক্রান্ত তথ্য দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রকাশ করতে হবে না। দিল্লি হাই কোর্ট আজ এক গুরুত্বপূর্ণ রায়ে কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনের (সিআইসি) প্রায় আট বছর আগের আদেশ খারিজ করে দিয়েছে।
২০১৬ সালে দায়ের হওয়া একটি তথ্য জানার (আরটিআই) আবেদনের ভিত্তিতে সিআইসি নির্দেশ দিয়েছিল, ১৯৭৮ সালে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক পাঠরত ছাত্রদের তালিকা সহ প্রধানমন্ত্রীর ডিগ্রির তথ্য প্রকাশ করতে হবে। সেই বছরই নির্বাচনী হলফনামা অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী মোদী বি.এ. পাস করেন বলে জানা যায়। তবে বিশ্ববিদ্যালয় এই আদেশের বিরুদ্ধে আদালতে যায় এবং গোপনীয়তার অধিকার লঙ্ঘনের আশঙ্কা প্রকাশ করে। আজকের রায়ে হাই কোর্ট বলেছে, বিশ্ববিদ্যালয়কে এই তথ্য প্রকাশ করতে হবে না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে ভারতের সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা আদালতে যুক্তি দেন, শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রীর নয়, ১৯৭৮ সালের বি.এ. ব্যাচের সকল ছাত্রের তথ্য প্রকাশ করতে গেলে হাজার হাজার ছাত্রের গোপনীয়তা ক্ষুণ্ণ হবে। তিনি আরও বলেন, তথ্য প্রকাশের এমন এক নজির তৈরি হলে ভবিষ্যতে সরকারি প্রতিষ্ঠানের স্বাভাবিক কার্যপদ্ধতিও ব্যাহত হতে পারে।
তবে তথ্য প্রার্থীরা বলেন, এই তথ্য জানার অধিকার আইনে আবেদনকারীর উদ্দেশ্য বা পরিচয় বিবেচ্য নয়। ডিগ্রি হলো রাষ্ট্র প্রদত্ত একটি শংসাপত্র এবং প্রধানমন্ত্রীর মতো জনসাধারণের নেতা হলে তা জনস্বার্থে প্রকাশযোগ্য। এই মামলার চূড়ান্ত রায় হাই কোর্ট সংরক্ষণ করেছিল ২৭ ফেব্রুয়ারি এবং আজ ২৫ আগস্ট তা ঘোষণা করা হয়েছে।
তবে আইনি লড়াই এখানেই শেষ নয় বলেই মনে হচ্ছে। কারণ, এই রায় সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ হতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। দীর্ঘ এক দশকের আইনি প্রক্রিয়ার এক গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে এই মামলাটি।
