কমিউনিস্টরা সর্বদাই উন্নয়ন বিরোধী, এরা ত্রিপুরায় দীর্ঘদিন যুবদের খেলাধুলার উপযুক্ত পরিমন্ডল ও সুযোগ থেকে বঞ্চিত রেখেছে: সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৪ আগস্ট: কমিউনিস্টরা সর্বদাই উন্নয়ন বিরোধী। এরা ত্রিপুরায় দীর্ঘদিন যুবদের খেলাধুলার উপযুক্ত পরিমন্ডল ও সুযোগ করে দেওয়ার বদলে, তাঁদেরকে বিভ্রান্ত করে দলীয় মিছিলের লাইন লম্বা করে সংকীর্ণ রাজনৈতিক স্বার্থ আদায়ই ছিল প্রধান লক্ষ্য। আজ কুমারঘাট প্লে সেন্টার আয়োজিত কুমারঘাট ফুটবল টুর্নামেন্টে উদ্বোধন করে একথা বলেন সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব।

তিনি আরো বলেন, বর্তমান সিপিএম রাজ্য সম্পাদক যখন বামফ্রন্ট সরকারের সময়ে একটি ক্রীড়া সংস্থার চেয়ারম্যান ছিলেন , তখন ভারতের হয়ে আন্তর্জাতিক জিমন্যাস্ট আসরে যোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু জটিলতায় সিলেকশনের ক্ষেত্রে সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিলেন সোনার মেয়ে দীপা কর্মকার। কিন্তু সেই সময়ে তৎকালীন ক্রীড়া সংস্থার চেয়ারম্যান যিনি বর্তমান সিপিএম সম্পাদক, তাঁর কোন ভূমিকা বা প্রচেষ্টাই ছিল না দিপাকে সেই সুযোগটি করে দেওয়ার ক্ষেত্রে। আজ কুমারঘাট ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে নাম না করে জিতেন্দ্র চৌধুরীকে এভাবেই তির্যক আক্রমণ শানালেন সাংসদ তথা ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব।

এদিন, বিপ্লব কুমার দেব দাবি করেন তিনি প্রদেশ বিজেপির সভাপতি থাকাকালীন সময়ে বিজেপি নেতৃত্বদের ও সর্বানন্দ সনোয়ালের আন্তরিক প্রচেষ্টায় দীপা আন্তর্জাতিক আসরে খেলার সুযোগ পেয়েছিলো। আর তার জন্যই দীপা তার যোগ্য প্রাপ্য সুযোগটি পেয়েছে। আর তা শুধু পেয়েছে বলেই দীপা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে নিজেকে প্রমাণিত করে শুধুমাত্র রাজ্য নয় গোটা দেশের নাম উজ্জ্বল করেছে । একের পর এক পদকে, সম্মানে দীপা আজ দেশের সোনার মেয়ে হয়ে উঠেছে। কিন্ত তৎকালীন সময়ে যাদের দায়িত্ব ছিল দীপাকে সহায়তা করার তাঁদের কোনো ভূমিকাই ছিল না। এরা বন্দুকের নলের মধ্যে সমস্ত শক্তির উৎসের নীতিতে বিশ্বাসী।

বিপ্লব কুমার দেব অভিযোগ করেন কমিউনিস্ট মানেই পার্মানেন্ট ইমারজেন্সি পার্টি। গত ৩৫ বছর তারা ত্রিপুরাতে এই ধরনের পরিবেশ তৈরি করে রেখেছিল। স্বামী বিবেকানন্দ যেখানে যুবদের খেলার মাঠে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু কমিউনিস্টের লক্ষ্য তাদের রাজনৈতিক স্বার্থ আদায়ের জন্য মিছিলের লাইন লম্বা করে যুবদেরকে বিভ্রান্ত করে রাজনৈতিক ফায়দা আদায় করা। এরা কোনদিন ত্রিপুরার এবং রাজ্যের মানুষের কল্যাণ চায় নি।