নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৪ আগস্ট:
আরও সুন্দরভাবে, উৎসাহ ও উদ্দীপনা নিয়ে মায়ের গমন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে বৃহত্তর আগরতলার ক্লাবগুলির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা। দুর্গাপূজার পর আগামী ৪ অক্টোবর আগরতলায় মায়ের গমন ও কার্নিভাল অনুষ্ঠিত হবে। আজ মুক্তধারা অডিটোরিয়ামে মায়ের গমন ও শারদ সম্মান প্রস্তুতি সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা সভাপতিত্ব করেন।
সভায় আলোচনা করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মায়ের গমন আয়োজন করতে গিয়ে কোথায় কোথায় ত্রুটি রয়েছে তা গত বছরের অনুষ্ঠান থেকে শিক্ষা নিতে হবে। সমস্যাগুলির সমাধান করতে হবে। প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় শব্দ দূষণের বিষয়ে আরও বেশি সচেতন হতে বিভিন্ন ক্লাবের প্রতিনিধিদের প্রতি মুখ্যমন্ত্রী আহ্বান জানান। প্রসঙ্গক্রমে মুখ্যমন্ত্রী পূর্ত দপ্তরের আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন দুর্গাপূজার আগেই যেন সারা রাজ্যে রাস্তাগুলি সংস্কার করা হয়। তিনি আশা প্রকাশ করেন আরও বেশি ক্লাব এবছর মায়ের গমন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, পুজোর সময় আধিকারিকদের ছুটি দেওয়া হবে না। প্রত্যেকেই নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করতে হবে। যদি বিশেষ কোনো কারণ থাকে সেবিষয়ে বিবেচনা করা যেতে পারে। তবে বিশেষ কোনো কারণ ছাড়া কোনো আধিকারিকের ছুটি মঞ্জুর হবে না। এছাড়াও চাঁদার বিষয়েও ক্লাবগুলিকে সচেতন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, আগের তুলনায় চাঁদার জুলুম এখন নেই বললেই চলে। এখন ক্লাবের সদস্যরা জানেন, কিভাবে চাঁদা নিতে হয়, তার জনগণ ও জানেন কিভাবে চাঁদা দিতে হয়। তাই শান্তিপূর্ণভাবে পূজা পরিচালনা করার আহ্বান জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
প্রস্তুতি সভায় আলোচনায় অংশ নিয়ে আগরতলা পুরনিগমের মেয়র তথা বিধায়ক দীপক মজুমদার বলেন, আগরতলা পুরনিগম ও সংলগ্ন এলাকায় গত বছর ৬০৮টি দুর্গাপূজার আয়োজন করা হয়েছিল। রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা ভালো বলেই মানুষ সারা রাতব্যাপী শারদোৎসবে অংশ নিয়েছেন। এবছরও সরকারি নিয়ম নীতি মেনে ক্লাবগুলি দুর্গোৎসবের আয়োজন করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন এবং সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
প্রস্তুতি সভার শুরুতে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সচিব ড. প্রদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, গত বছর ৪৬টি ক্লাব মায়ের গমন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিল। গত বছরের মতো এবছরও মূল অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে তুলসীবতী বালিকা বিদ্যালয়ের গার্লস হোস্টেলের সামনে। শব্দ দূষণের বিষয়ে আরও সচেতন হতে তিনি বিভিন্ন ক্লাবের প্রতিনিধিদের প্রতি আহ্বান জানান। প্রস্তুতি সভায় উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম ত্রিপুরা জিলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাধিপতি বিশ্বজিৎ শীল, স্বাস্থ্য দপ্তরের সচিব কিরণ গিত্যে, আইজি, আইন শৃঙ্খলা এ.আর. রেড্ডি, রাজ্যভিত্তিক সাংস্কৃতিক উপদেষ্টা কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত চক্রবর্তী। স্বাস্থ্য দপ্তরের সচিব এবং আইজি, আইন শৃঙ্খলা আলোচনায় অংশ নেন। সভায় এবছর মায়ের গমন আয়োজনের বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের অধিকর্তা বিম্বিসার ভট্টাচার্য। পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার জেলাশাসক ডা. বিশাল কুমার সহ বিভিন্ন দপ্তরের পক্ষ থেকে পদস্থ আধিকারিকগণ আলোচনায় অংশ নেন। তাছাড়া বিভিন্ন ক্লাবের প্রতিনিধিগণও আলোচনা করেন।

