অসমের আত্মপরিচয়কে আঘাত, মাহমুদ মাদানির গ্রেফতারের দাবি বিজেপির

গুয়াহাটি, ২৪ আগস্ট : জমিয়তে উলেমা-ই-হিন্দ-এর নেতা মৌলানা মাহমুদ মাদানির মন্তব্যকে অসমের আত্মপরিচয় ও গৌরবের ওপর “আক্রমণ” হিসেবে ব্যাখ্যা করে তাঁর গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে অসম বিজেপি।

অসম বিজেপির পক্ষ থেকে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, সম্প্রতি মাহমুদ মাদানি অসমে চলমান উচ্ছেদ অভিযানকে গাজা ও প্যালেস্টাইনের ঘটনার সঙ্গে তুলনা করেছেন, যা অসমবাসীর আত্মমর্যাদায় আঘাত করেছে। বিজেপির অভিযোগ, “মাদানি অসমের সমস্যাগুলিকে কেবলমাত্র মুসলিম সম্প্রদায়ের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার চেষ্টা করেছেন, যা একপাক্ষিক ও বিভাজনমূলক।”

অসম বিজেপির মুখপাত্র জয়ন্ত কুমার গোস্বামী রাজ্য পুলিশের প্রতি আহ্বান জানান, যাতে মাহমুদ মাদানিকে অবিলম্বে গ্রেফতার করে তাঁর মন্তব্যের জন্য উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়। তিনি অভিযোগ করেন, “আগের কংগ্রেস সরকারের প্রশ্রয়ে বহিরাগত ও অনুপ্রবেশকারীরা রাজ্য সরকারের ও বনভূমিতে অবৈধ দখলদারি চালিয়েছে, যা অসমের সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক কাঠামোকে বিপন্ন করেছে।”

গোস্বামীর বক্তব্য অনুযায়ী, মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার স্থানীয় জনগণের অধিকার রক্ষায় বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ, অনুপ্রবেশকারীদের নাম ভোটার তালিকা থেকে মুছে ফেলা এবং স্থানীয় সম্প্রদায়ের রাজনৈতিক অধিকার সুনিশ্চিত করা।

তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “ভবিষ্যতে যদি কংগ্রেস, এআইইউডিএফ, রাইজর দল এবং অসম জাতীয় পরিষদ যৌথভাবে সরকার গঠন করে, তাহলে আর্শাদ মাদানি এবং মাহমুদ মাদানির মতো নেতা অসমের রাজনৈতিক উপদেষ্টা হয়ে উঠতে পারেন, যার ফলে অনুপ্রবেশকারীদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা পেতে পারে।”

বিজেপি আরও অভিযোগ করেছে, কংগ্রেস ও তার মিত্ররা, এমনকি কিছু বামপন্থী বুদ্ধিজীবীরাও তথাকথিত “মাদানি সংস্কৃতি” প্রচারে সাহায্য করছে, যা আদিবাসী অসমিয়াদের স্বার্থের পরিপন্থী।

অসম বিজেপি এই বিষয়ে রাজ্যবাসীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে এবং সরকারের আদিবাসী স্বার্থরক্ষার পদক্ষেপে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে।