নয়াদিল্লি, ২২ আগস্ট: বিহারে চলমান স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন কার্যক্রমকে কেন্দ্র করে নির্বাচন কমিশনকে বড় নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার আদালত জানিয়েছে, ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়া নাগরিকরা আধার কার্ড অথবা নির্বাচন কমিশনের নির্ধারিত ১১টি নথির যেকোনও একটি জমা দিয়ে ফের তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করতে পারবেন।
আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, শুধু শারীরিক নয়, অনলাইনের মাধ্যমেও বাদ পড়া ভোটাররা অভিযোগ ও দাবি জমা দিতে পারবেন। এছাড়া, বুথ লেভেল এজেন্টদের ভোটারদের সাহায্য করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে প্রয়োজনীয় ফর্ম এবং পরিচয়পত্র জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া সহজ হয়। সুপ্রিম কোর্টের মন্তব্য, ভোটারদের জন্য গোটা প্রক্রিয়াটি বন্ধুত্বপূর্ণ ও সহযোগিতামূলক হতে হবে।”
প্রসঙ্গত, নির্বাচন কমিশন ১৮ আগস্ট জানিয়েছিল যে বিহারে ভোটার তালিকা সংশোধনের খসড়া প্রকাশের পর ৬৫ লাখ মানুষের নাম তালিকা থেকে বাদ পড়েছে। এই নিয়ে বিরোধী দলগুলি গুরুতর অভিযোগ তোলে, যে প্রকৃত ভোটারদের নাম যাচাই ছাড়াই কেটে দেওয়া হয়েছে।
আদালত জানায়, সব রাজনৈতিক দলগুলিকে এই মামলায় পক্ষভুক্ত করা হবে, এবং তাদের বুথ লেভেল এজেন্টদের আরও সক্রিয়ভাবে কাজ করতে বলা হয়েছে। কারণ কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, এই এত বড় বাদ পড়ার ঘটনায় মাত্র দু’টি আপত্তি জমা পড়েছে রাজনৈতিক দলগুলোর তরফ থেকে।
সুপ্রিম কোর্ট রাজনৈতিক দলগুলির এই নিষ্ক্রিয়তায় বিস্ময় প্রকাশ করেছে এবং ভোটারদের স্বার্থে সকল পক্ষকে আরও দায়িত্ববান হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
কমিশন আদালতকে আরও জানিয়েছে যে ইতিমধ্যেই বিহারে এই সংশোধনী প্রক্রিয়ায় ৮৫ হাজার নতুন ভোটার নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য আবেদন করেছেন।
বিরোধীদের অভিযোগ, যে ১১টি নথি নির্বাচন কমিশন গ্রহণ করছে, তার তালিকায় আধার নেই — অথচ আধার দেশের সবচেয়ে প্রচলিত পরিচয়পত্র। এই বিষয়ে এখন সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট করেছে যে, আধার সহ যেকোনও একটি গ্রহণযোগ্য নথি দিয়েই আবেদন করা যাবে।
উল্লেখযোগ্য নির্দেশসমূহ: অনলাইনে আবেদন গ্রহণ করতে হবে, আধার অথবা ১১টি নথির যেকোনও একটি গ্রহণযোগ্য, বুথ লেভেল এজেন্টদের সক্রিয়ভাবে সাহায্য করতে নির্দেশ এবং রাজনৈতিক দলগুলিকে মামলায় পক্ষভুক্ত করার আদেশ। বিহারে ভোট ঘনিয়ে আসার প্রেক্ষাপটে এই নির্দেশ গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

