বিলোনিয়া, ১২ আগস্ট: সুপারি কিলার দিয়ে স্ত্রীকে নৃশংসভাবে খুনের অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। জঙ্গল থেকে উদ্ধার হয়েছে নিখোঁজ মহিলার পচাগলা মৃতদেহ। ঘটনায় সুপারি কিলার আবার পুর নির্বাচনে তৃনমূল কংগ্রেসের প্রার্থী বলে জানা গেছে।
বিলোনিয়া সিএমও অফিস সংলগ্ন যাত্রাপুর থানাধীন কাশারী গভীর জঙ্গলে থেকে নিখোঁজ কনা দেবনাথ দাসের (৪৫) পচাগলা মৃত দেহ উদ্ধার হয়। মৃতার মেয়ে মৃতদেহ শনাক্ত করেছেন। এই ঘটনায় পুলিশ আটক করেছে মহিলার স্বামী রাজু দাস এবং গত পুর নির্বাচনে তৃনমূল কংগ্রেসের প্রার্থী দুলন দাস ও মো: মিয়াকে। অভিযোগ ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে খুন করানো হয়েছে মহিলাকে।
গৃহবধূ কনার মেয়ে প্রীতি দেবনাথ বিলোনিয়া মহিলা থানাতে নিখোঁজ ডায়েরি করেছিল। অবশেষে ১৪ দিন পর সোনামুড়া যাত্রাপুর থানাধীন কাশারী গভীর জঙ্গল থেকে মঙ্গলবার সকালে মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। গত ২৮ শে জুলাই বিকেল থেকে নিখোঁজ ছিল ওই মহিলা।
পুলিশ সুত্রে জানা যায়, হত্যা করা হয়েছে ওই মহিলাকে। হত্যার অভিযোগে গত পুরসভার নির্বাচনে তৃনমূল কংগ্রেসের প্রার্থী দুলন দাস ও মোহাম্মদ মিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পাশাপাশি গৃহবধূর স্বামী রাজু দাসকে গ্ৰেপ্তার করা হয়েছে।
জানা গৃহবধূর স্বামী রাজু , নিজের স্ত্রী কনা দেবনাথ দাসকে হত্যার জন্য পঞ্চাশ হাজার টাকা সুপারি দেয় দুলনকে। দুলন দাসের (২৮) বাড়ি বিলোনিয়া রাম ঠাকুর পাড়াতে , অপরদিকে মোহাম্মদ মিয়ার (৩৫) বাড়ি রাজনগর মুসলিম পাড়াতে । এই মহিলার সাথে দুলনের আগে পরিচিত ছিল। ফোন কলের মাধ্যমে বাড়ি থেকে বের করে তুলে আনে কাশারীর জঙ্গলে ওই মহিলাকে। সেখানেই মাংস কাটার দা দিয়ে মোহাম্মদ মিয়া পিছন দিক থেকে গৃহবধূ কনার গলা কেটে হত্যা করে বলে স্বীকার করেছে সে। ফোন লোকেশন যাচাইয়ের মাধ্যমে গত সোমবার রাতেই গৃহবধূ কনার স্বামী রাজু সহ দুলন দাস ও মোহাম্মদ মিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের পর রাতেই অভিযুক্তদের নিয়ে হত্যার জায়গা সনাক্ত করন করা হয়। পাশাপাশি গৃহবধূর মেয়ে প্রীতি দেবনাথকে খবর দেওয়া হয় মৃতদেহ সনাক্তকরণের জন্য। মঙ্গলবার সকালে পুলিশ গৃহবধূ কনার মৃতদেহ উদ্ধার করে, খবর দেয় ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ দলকে। ঘটনায় গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

