কৈলাসহর, ১২ আগস্ট: দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে ধুঁকছে কৈলাসহরের গৌরনগর ব্লকের অধীন ইছবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চার, পাঁচ ও ছয় নম্বর ওয়ার্ডের যাতায়াতের একমাত্র রাস্তাটি। দীর্ঘদিন ধরে গ্রামের একমাত্র রাস্তাটি সংস্কার না করায় রাস্তাটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। প্রতিদিন দুর্ঘটনা ঘটলেও সংশ্লিষ্ট দপ্তর কিংবা স্থানীয় পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ উদাসীন। গ্রামবাসীরা কয়েকবার স্থানীয় পঞ্চায়েত এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কাছে ডেপুটেশন প্রদান করলেও কেউ কোনো ধরনের পদক্ষেপ না নেওয়ায় গ্রামে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনা কৈলাসহরের ইছবপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়।
কৈলাসহরের গৌরনগর ব্লকের অধীন ইছবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চার, পাঁচ ও ছয় নম্বর ওয়ার্ডের যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় কার্যত মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। প্রায় তিন কিলোমিটার দীর্ঘ এই রাস্তা চার নম্বর ওয়ার্ডের অরবিন্দ দেবের বাড়ির সামনে থেকে শুরু হয়ে ছয় নম্বর ওয়ার্ডের বালিছড়া পর্যন্ত বিস্তৃত। পাঁচশো পরিবারের একমাত্র ভরসা এই ইট সলিং রাস্তা বর্তমানে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
রাস্তার দুপাশের পাহাড়ি মাটি ধসে ড্রেন ভেঙে যাওয়ায় ইট উঠে গেছে এবং পাহাড়ি মাটি রাস্তার উপর এসে পড়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই কর্দমাক্ত হয়ে যায় পুরো রাস্তা। ফলে পায়ে হেঁটে চলাচল দুরূহ হয়ে পড়ে, কোনো গাড়ি গ্রামে প্রবেশ করতে পারে না। অসুস্থ রোগী পরিবহন থেকে শুরু করে ছাত্রছাত্রীদের স্কুলে যাতায়াত—সবক্ষেত্রেই গ্রামবাসীরা মারাত্মক ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
স্থানীয় বিজেপি দলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য আনছার আলী অভিযোগ করে বলেন, “২০২১ সালে যখন ইছবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতটি বিজেপি দল পরিচালনা করতো, তখন আমরা রাস্তা সংস্কারের পরিকল্পনা তৈরি করে পূর্ত দপ্তরের কাছে দিয়েছিলাম এবং দপ্তরও কাজ শুরু করেছিল। কিন্তু ২০২৪ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর কংগ্রেস ও সিপিআই(এম) মিলে ক্ষমতায় আসার পর থেকে পূর্ত দপ্তরের সাথে কোনো যোগাযোগই করেনি পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ। এর ফলেই রাস্তা সংস্কারের কাজ থমকে গেছে।”
গ্রামবাসীরা অভিযোগ করেছেন, গত এক বছরে কংগ্রেস–সিপিআই(এম) পরিচালিত পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ এই রাস্তা সংস্কারে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। কয়েক দফা পঞ্চায়েত ও পূর্ত দপ্তরে ডেপুটেশন দেওয়ার পরও কোনো সাড়া মেলেনি। সাম্প্রতিককালে পূর্ত দপ্তরের অফিসে সরাসরি দাবি জানানোর পরও কার্যকর ব্যবস্থা না পেয়ে গ্রামবাসীরা সংবাদমাধ্যমের শরণাপন্ন হয়েছেন।
ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা স্থানীয় পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করে দ্রুত রাস্তা সংস্কারের দাবি তুলেছেন।

