নয়াদিল্লি, ১১ আগস্ট : রাজধানীর বাবা খড়ক সিং মার্গে সাংসদদের জন্য নির্মিত ১৮৪টি নতুন টাইপ-VII বহুতল ফ্ল্যাটের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। চারটি টাওয়ারের নাম রাখা হয়েছে দেশের চার মহৎ নদীর নামে—কৃষ্ণা, গোদাবরী, কোসি ও হুগলি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নির্মাণকাজে যুক্ত শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেন এবং আবাসন চত্বরে একটি সিন্দুর গাছের চারা রোপণ করেন।
মোদী বলেন, “নদীর নামকরণের এই প্রথা দেশকে ঐক্যের সূত্রে বেঁধে রাখে। তবে কিছু মানুষের অসুবিধা হবে, যেমন কোসি নাম শুনে তারা নদী দেখবেন না, শুধু বিহারের ভোট দেখতে পাবেন। এটাই তাদের মানসিকতা।” তিনি যোগ করেন, এই আবাসনে দেশের নানা প্রান্তের সাংসদ একসঙ্গে বসবাস করবেন—যা ‘এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত’-এর প্রতীক হবে। তাই আবাসনের বাসিন্দারা যদি একসঙ্গে বিভিন্ন রাজ্যের উৎসব পালন করেন, তা পরিবেশকে প্রাণবন্ত করে তুলবে।
প্রধানমন্ত্রীর মতে, নতুন ফ্ল্যাটে ১৮০-এর বেশি সাংসদ একসঙ্গে থাকতে পারবেন, যা সরকারি খরচও কমাবে। “মন্ত্রণালয়গুলোর জন্য ভাড়া বাবদ বছরে প্রায় ১,৫০০ কোটি টাকা খরচ হয়। সাংসদদের জন্য পর্যাপ্ত সরকারি আবাসন না থাকার কারণে ব্যয় আরও বাড়ত। নতুন ফ্ল্যাটে উঠে এলে পুরনো জরাজীর্ণ বাসস্থানের সমস্যাও দূর হবে,” বলেন মোদী।
তিনি আরও বলেন, পুরনো সাংসদ আবাসনের দুরবস্থা ও নিত্যদিনের ঝামেলা থেকে মুক্তি মিলবে। এতে সাংসদরা নিজেদের সময় ও শক্তি জনগণের সমস্যার সমাধানে আরও বেশি দিতে পারবেন।
উন্নয়ন ও সংবেদনশীলতার প্রসঙ্গ টেনে মোদী বলেন, “২১শ শতকের ভারত যতটা উন্নত হওয়ার জন্য উদগ্রীব, ততটাই সংবেদনশীল। কর্তব্য পথ ও কর্তব্য ভবনের মতো প্রকল্পের পাশাপাশি কোটি মানুষের ঘরে জল পৌঁছে দিচ্ছে দেশ। সাংসদদের নতুন বাসভবন উদ্বোধনের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার মাধ্যমে ৪ কোটি দরিদ্র পরিবারের গৃহপ্রবেশ সম্পন্ন হয়েছে।”
প্রধানমন্ত্রী আহ্বান জানান, এই বহুতল আবাসন ও পুরো কমপ্লেক্স যাতে সর্বদা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও টেকসই হয়, সে বিষয়ে সকলকে সচেষ্ট থাকতে হবে।

