আগরতলা, ১১ আগস্ট: ত্রিপুরা স্টেট ইলেকট্রিসিটি কর্পোরেশন লিমিটেড (টিএসইসিএল) গ্রাহকদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করতে বিদ্যুৎ সংক্রান্ত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও আপডেট এসএমএসের মাধ্যমে পাঠিয়ে থাকে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে কিছু অসাধু ব্যক্তি ভুয়া বার্তার মাধ্যমে গ্রাহকদের প্রতারণার চেষ্টা চালাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে সংস্থা গ্রাহকদের সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছে এবং জানিয়েছে কীভাবে একটি আসল বার্তা চেনা যায়।
প্রতিটি এসএমএসের শুরুতে যে নাম বা কোড দেখা যায়, সেটিকেই এসএমএস হেডার বা প্রেরক আইডি বলা হয়। টিএসইসিএল-এর নিবন্ধিত প্রেরক আইডি হলো টিএসইসিএল। গত ৬ মে ২০২৫ থেকে টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (ট্রাই)-এর নতুন নিয়ম অনুসারে এই হেডারের শেষে একটি অক্ষর যোগ করা হয়েছে, যা বার্তার ধরন নির্দেশ করে— যেমন, এস মানে সার্ভিস সংক্রান্ত বার্তা, টি মানে ট্রানজ্যাকশনাল বার্তা, পি মানে প্রোমোশনাল এবং জি মানে সরকারি বার্তা। উদাহরণস্বরূপ, আইএম -টিএসইসিএল- এস লেখা থাকলে বোঝা যাবে এটি টিএসইসিএল-এর সার্ভিস-সংক্রান্ত একটি বার্তা, যেখানে আই এম অপারেটর ও টেলিকম সার্কেলের কোড, আর টিএসইসিএল সংস্থার যাচাইকৃত প্রেরক আইডি।
টিএসইসিএল জানিয়েছে, আসল বার্তায় সবসময় সঠিক গ্রাহক তথ্য থাকবে, যেমন বিলের পরিমাণ, মিটার নম্বর ইত্যাদি, এবং ভাষা হবে পেশাদার ও নির্ভুল। সংস্থা কখনোই এসএমএসের মাধ্যমে গ্রাহকের ওটিপি, পাসওয়ার্ড বা ব্যাংক সংক্রান্ত তথ্য চাইবে না এবং শুধুমাত্র অফিসিয়াল ওয়েবসাইট বা অ্যাপের লিংক দেবে। অপরদিকে, অচেনা প্রেরক আইডি, অজানা মোবাইল নম্বর, হুমকিমূলক ভাষা, শর্টেনড বা অচেনা লিংক, ব্যক্তিগত তথ্য চাওয়া বা লটারি-রিফান্ডের প্রলোভন ইত্যাদি ভুয়া বার্তার স্পষ্ট লক্ষণ।
বিদ্যুৎ নিগমের তরফে আপামর ভোক্তাদেরকে অনুরোধ জানিয়ে বলা হয়েছে, কোনো সন্দেহজনক বার্তা পেলে অবিলম্বে টিএসইসিএল-এর অফিসিয়াল হেল্পলাইনে যোগাযোগ করতে, অচেনা লিংকে ক্লিক না করতে এবং প্রতারণামূলক বার্তা টেলিকম অপারেটর বা সাইবার সেলে রিপোর্ট করতে। সংস্থার মতে, গ্রাহকের সুরক্ষা নিশ্চিত করা একটি যৌথ দায়িত্ব, আর যাচাইকৃত প্রেরক আইডি টিএসইসিএল চিহ্নিত করার অভ্যাস গড়ে তুললেই অধিকাংশ প্রতারণা এড়ানো সম্ভব। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সকলকে সজাগ থাকারও আবেদন জানিয়েছে বিদ্যুৎ নিগম।

