আগরতলা, ৬ আগস্ট : রাতের আঁধারে ঊনকোটি জেলার জেলাসদর কৈলাসহর শহরে একসাথে তিনটি স্কুলে দুঃসাহসিক চুরি সংঘটিত হয়েছে। খোদ শহরের উপকন্ঠে রাতের অন্ধকারে বনেদী স্কুলগুলোতে চুরির ঘটনায় শহর জুড়ে তীব্র আতংক বিরাজ করছে।
জানা গিয়েছে, গতকাল রাতে কৈলাসহরের রামকৃষ্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তথা আশ্রম স্কুল, রাধাকিশোর ইনস্টিটিউট, এবং শ্রীরামপুর স্কুল চুরি সংঘটিত হয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে কৈলাসহর থানার পুলিশ। চুরি কান্ডের ব্যাপারে আশ্রম স্কুলের প্রধানশিক্ষক অসীম চক্রবর্তী জানান যে, বুধবার সকালবেলা স্কুলের এক স্টাফ থেকে ফোন পেয়ে স্কুলে এসে দেখতে পান যে, স্কুলের মূল গেইটেই তালা ভাঙ্গা এবং স্কুলের অফিস রুমের সমস্ত গডরেজ ভাঙ্গা অবস্থা রয়েছে। সাথে সাথেই কৈলাসহর থানায় খবর দেওয়া হয়েছে। খবর পেয়ে কৈলাসহর থানার পুলিশ স্কুলে এসে ঘটনার যাবতীয় খোঁজ খবর নিয়েছে।
প্রাথমিকভাবে জানা যায় যে, স্কুলের অফিস রুমের আলমারি ভেঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ কিছু নথী সহ কাগজ পত্র নিয়ে যায় চোরের দল। স্কুলে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মীর স্বল্পতার কারনে স্কুলের ম্যানেজমেন্ট কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী স্কুলের নাইট গাইডকে দিয়ে দিনের বেলায় অফিসের কাজে লাগানো হয়েছে বিগত দুই বছর ধরে। যারফলে বিগত দুই বছর ধরে স্কুলে নাইট গাইড নেই। সেই সুযোগকেই কাজে লাগিয়ে চুরেরা চুরি কান্ড ঘটিয়েছে। শহর এলাকায় অবস্থিত রামকৃষ্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্কুল, রাধাকিশোর ইনস্টিটিউট এবং শ্রীরামপুর স্কুলে চুরির ঘটনায় গোটা শহর এলাকায় তীব্র আতংক বিরাজ করছে। এভাবে শহরের উপকন্ঠে বনেদী স্কুলগুলোতে চুরেরা চুরি কান্ড করায় পুলিশের ভুমিকা নিয়েও বড়সড় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কেননা, রাতে পুলিশের পেট্রোলিং থাকলে এরকম ঘটনা ঘটতো না বলে শহরবাসীর অভিমত। খোদ শহর এলাকায় এরকম চুরি কান্ড ঘটলে প্রত্যন্ত গ্রামে কিংবা এডিসি এলাকায় কি হবে তা সহজেই অনুমেয় করা যায়।
উল্লেখ্য চলতি সপ্তাহে কৈলাসহরের শ্রীরামপুর এলাকায় মনু সোনামারা এলাকায় রাতের অন্ধকারে দুইটি দোকান চুরি হয়েছে। একের পর এক চুরি কান্ড ঘটলেও পুলিশ নীরব দর্শকের ভুমিকা পালন করছে। সাম্প্রতিক কালে কৈলাসহরের বিভিন্ন এলাকায় চুরি কান্ড ঘটলেও একটি ক্ষেত্রেও পুলিশ সাফল্য দেখাতে পারেনি। দোকান চুরির পর এক রাতে একসাথে তিনটি স্কুলে চুরি কান্ড ঘটায় কৈলাসহর থানার পুলিশের ব্যর্থতাই প্রকাশ্যে এসেছে বলে সামাজিক মাধ্যমে পুলিশের সমালোচনা শুরু হয়েছে।

