বাপের বাড়িতে নিজের শরীরে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা গৃহবধূর

উদয়পুর, ৫ আগস্ট : বাপের বাড়িতে নিজের শরীরে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করল এক গৃহবধূ। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে গোমতী জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বর্তমানে মৃত্যু সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে সে।

জানা যায়, ১২ থেকে ১৩ বছর পূর্বে উদয়পুর গোকুলপুর এগ্রিকালচার চৌমুহনী এলাকার এক যুবতীর বিয়ে হয় যতনবাড়ি এলাকায়। বিয়ের পর স্বামীর বাড়িতে তেমন কোন অশান্তি ছিল না। কিছুদিন পূর্বে গৃহবধূ অসুস্থ হয়ে পরে। তার চিকিৎসাও চলছিল। ৪ থেকে ৫ দিন পূর্বে গৃহবধূকে তার শ্বশুর তার বাপের বাড়িতে দিয়ে যায়। গৃহবধূর মায়ের কাছে ঔষধ ক্রয় করে দিয়ে যায়। এবং বলে যায় গৃহবধূ কিছুটা সুস্থ হলে জানানোর জন্য।

তারপর তিনি পুনরায় পুত্র বধূকে নিয়ে যাবেন। গৃহবধূর মায়ের বক্তব্য মঙ্গলবার সকালে মেয়েকে স্নান করিয়ে ঘরে রেখে প্রতিবেশীর বাড়িতে যাচ্ছিলেন। এমন সময় চিৎকার শুনতে পেয়ে বাড়িতে ছুটে যান। বাড়িতে গিয়ে দেখতে পান মেয়ের শরীরে আগুন। তিনি আরও জানান ঘটনার সময় বাড়িতে ওনার বড় মেয়ে ছাড়া ওনার মূক বধির ছোট মেয়ে ছিল।

চিৎকার শুনে পাড়া প্রতিবেশীরা ছুটে এসে আগুন নিভায়। খবর দেওয়া হয় দমকল বাহিনীর কর্মীদের। দমকল বাহিনীর কর্মীরা অগ্নিদগ্ধ বধূকে গোমতী জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। গোমতী জেলা হাসপাতালের চিকিৎসক জানান আহত গৃহবধূর অবস্থা আশঙ্কা জনক। আহত বধূর শরীরের প্রায় ৮৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে জিবি হাসপাতালে রেফার করে দেওয়া হয়েছে। আহত বধূর অবস্থা বর্তমানে আশঙ্কা জনক।