গৃহ পরিচারিকাকে ধর্ষণের দায়ে প্রাক্তন জেডি(এস) সাংসদ প্রাজ্বল রেভান্নাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, জরিমানা ১১ লক্ষ টাকা

মাইসুরু, ২ আগস্ট : প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচ.ডি. দেবেগৌড়ার নাতি ও জনতা দল (সেক্যুলার)-এর প্রাক্তন সাংসদ প্রাজ্বল রেভান্নাকে ধর্ষণের অভিযোগে শনিবার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে আদালত তাঁকে ১১ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে। জরিমানার ওই অর্থরাশি ধর্ষণের শিকার ৪৭ বছর বয়সী গৃহ পরিচারিকাকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে প্রদান করা হবে।

মামলা দায়ের হওয়ার মাত্র ১৪ মাসের মধ্যে দ্রুত তদন্ত ও বিচারপর্ব শেষ হয়েছে। মামলাটি কর্ণাটক সিআইডির সাইবার ক্রাইম স্টেশনে রেকর্ড করা হয়েছিল। রেভান্নার বিরুদ্ধে দু’বার ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণের অভিযোগ আনা হয়।

প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে প্রাজ্বল রেভান্নার বিরুদ্ধে একাধিক আপত্তিকর ভিডিও একটি পেন ড্রাইভ মারফত ফাঁস হয়। ওই ভিডিওতে তাঁর ধর্ষণের দৃশ্য ধরা পড়ে বলে অভিযোগ ওঠে। রেভান্না যদিও এই ভিডিওগুলিকে “বিকৃত” বলে দাবি করে পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেছিলেন।

বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর। পরবর্তী সাত মাসে আদালত মোট ২৩ জন সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ করে এবং ফরেনসিক রিপোর্ট ও ঘটনাস্থলের তদন্ত প্রতিবেদন খতিয়ে দেখে। তদন্ত চলাকালীন ধর্ষণের শিকার নারী একটি শাড়ি আদালতে জমা দেন। ওই শাড়িটি তিনি ঘটনার পর থেকে সংরক্ষণ করেছিলেন। ফরেনসিক পরীক্ষায় ওই শাড়িতে শুক্রাণুর অস্তিত্ব মিলেছে। তা মামলার মূল প্রমাণ হিসেবে আদালতে গৃহীত হয়েছে।

সিআইডি-র বিশেষ তদন্তকারী দল যার নেতৃত্বে ছিলেন ইন্সপেক্টর শোভা তদন্তের সময় মোট ১২৩টি আলামত সংগ্রহ করে এবং প্রায় ২০০০ পাতার চার্জশিট আদালতে জমা দেয়। আদালত রেভান্নাকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬(২)(ক), ৩৭৬(২)(ন), ৩৫৪(এ), ৩৫৪(বি), ও ৩৫৪(সি) ধারায় দোষী সাব্যস্ত করেছে। এই মামলার রায়ে কর্ণাটকের বিচার ব্যবস্থার দ্রুত ও কার্যকরী ভূমিকার প্রশংসা করছেন আইনি মহল।