ধর্মনগর, ১ আগস্ট: স্মার্ট মিটার খুলে নেওয়ার দাবিতে সরব হয়েছেন খোদ শাসকদলের সমর্থকরা। পানিসাগর বিদ্যুৎ সাব ডিভিশনের সিনিয়র ম্যানেজারের কাছে স্মার্ট মিটার খুলে নেওয়ার দাবিতে আজ এক লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন তারা। তবে শাসকদলের সমর্থক হলেও সাধারণ নাগরিক হিসেবে এদিন তারা এই অভিযোগ তুলে দিয়েছেন।
উত্তর ত্রিপুরার যুবরাজনগর আরডি ব্লকের অন্তর্গত বেতাঙি পূর্ব তিলথৈই এলাকার বহু বাসিন্দা বিদ্যুৎ দপ্তরের স্থাপিত স্মার্ট মিটার নিয়ে চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তাদের অভিযোগ,স্মার্ট মিটার বসানোর পর থেকেই বিদ্যুৎ বিল অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে, যা বিদ্যুৎ ব্যবহারের পরিমাণের সঙ্গে কোনোভাবেই সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের পক্ষ থেকে পানিসাগর বিদ্যুৎ সাব-ডিভিশনের সিনিয়র ম্যানেজারের নিকট একটি লিখিত অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়েছে। তাতে উল্লেখ করা হয়েছে,বহু নিম্নবিত্ত পরিবার,যারা দৈনন্দিন ব্যবহারে খুবই সীমিত পরিমাণে বিদ্যুৎ ব্যবহার করেন,তারাও এখন অতিরিক্ত বিলের বোঝা বহন করতে বাধ্য হচ্ছেন। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে আর্থিক চাপের পাশাপাশি প্রচণ্ড ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।
অভিযোগকারীদের দাবি,স্মার্ট মিটারে কারিগরি ত্রুটি কিংবা ভুল ক্যালিব্রেশনের জেরে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তাই অবিলম্বে স্মার্ট মিটার প্রত্যাহার করে পূর্বের মিটারিং ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার আবেদন জানিয়েছেন তারা। একই সঙ্গে দাবি তুলে রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলেছেন, যখন রাজ্যের বহু গ্রাহকের বকেয়া বিল মিটায়নি, তখন সেই বকেয়া আদায়ের আগেই নতুন মিটার বসানো কতটা যুক্তিসঙ্গত—তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। এছাড়াও,নতুন মিটারগুলির যথাযথ পরীক্ষা নিরীক্ষা ও যাচাই না হওয়া পর্যন্ত তা স্থগিত রাখার দাবি জানানো হয়েছে এলাকাবাসীর তরফে।
এ বিষয়ে পানিসাগর বিদ্যুৎ সাব-ডিভিশনের সিনিয়র ম্যানেজার জানান,পুরনো ও স্মার্ট মিটারের মধ্যে ব্যবহারের ক্ষেত্রে মৌলিক কোনো পার্থক্য নেই। তবে যেসব গ্রাহকের মিটার দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ ছিল,তাদের ক্ষেত্রেই এই বিলসংক্রান্ত সমস্যা বেশি দেখা দিচ্ছে। স্মার্ট মিটার বসানোর ফলে নির্দিষ্ট রিডিং যাচাই করা সম্ভব,যা ভবিষ্যতে গ্রাহকদেরই উপকারে আসবে। তিনি আরও জানান,এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে যে লিখিত অভিযোগপত্র জমা পড়েছে,তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করা হবে। এখন দেখার,বিদ্যুৎ দপ্তর সাধারণ মানুষের এই দাবির প্রেক্ষিতে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করে।

