‘অপারেশন সিন্দূর’-এর সাফল্যের জন্য প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বেসামরিক কর্মীদের প্রশংসা রাজনাথ সিংয়ের

নয়াদিল্লি, ০১ আগস্ট : প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বিভিন্ন বিভাগের সরবরাহ করা নিরবচ্ছিন্ন ব্যাক-এন্ড সাপোর্টই ‘অপারেশন সিন্দূর’-এর সাফল্যের মূল কারণ ছিল বলে শুক্রবার মন্তব্য করেছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। দেশের নিরাপত্তা কাঠামো জোরদার করার জন্য তিনি সামরিক ও বেসামরিক বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় আরও বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।

ডিআরডিও ভবনে ৮৪তম আর্মড ফোর্সেস হেডকোয়ার্টার্স সিভিলিয়ান সার্ভিসেস ডে অনুষ্ঠানে ভাষণ দেওয়ার সময় তিনি বলেন, “শুধুমাত্র সামরিক বাহিনী নয়, বরং পুরো দেশ মিলেই যুদ্ধ করে। আজকের দ্রুত পরিবর্তনশীল নিরাপত্তা পরিস্থিতিতে, ক্রমবিকাশমান প্রয়োজন অনুযায়ী গতিশীলতা এবং উদ্ভাবনী মনোভাব নিয়ে এগিয়ে যাওয়া দরকার।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা সামান্যতম অবহেলা বা ভুলেরও কোনো সুযোগ রাখতে পারি না।” একটি দেশকে সম্মিলিতভাবে যুদ্ধ করার এবং প্রতিটি যুদ্ধ থেকে শিক্ষা নেওয়ার গুরুত্বের উপর তিনি জোর দেন।

একটি শক্তিশালী সামরিক শক্তির জন্য একটি দৃঢ় প্রশাসনিক ব্যবস্থা কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা তুলে ধরে রাজনাথ সিং যুদ্ধের পাশাপাশি শান্তিকালীন সময়েও দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে সিভিলিয়ান সার্ভিসেস-এর ভূমিকার প্রশংসা করেন।

তিনি বলেন, “এএফএইচকিউ সার্ভিসেস প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের জন্য একটি প্রাতিষ্ঠানিক স্মৃতিভাণ্ডার হিসেবে কাজ করে। এটি প্রশাসনকে ধারাবাহিকতা, ডোমেইন দক্ষতা এবং এক রূপতা প্রদান করে, পাশাপাশি নীতিগত ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে এবং সামরিক-বেসামরিক সমন্বয় প্রতিষ্ঠায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি একটি আধুনিক এবং সমন্বিত জাতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার একটি শক্তিশালী স্তম্ভ।”

প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সক্ষমতা বিকাশের উপরও জোর দেন। তিনি এএফএইচকিউ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ এবং সক্ষমতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে অন্যান্য মন্ত্রক ও দেশগুলোতে তাদের সহকর্মীদের দ্বারা গৃহীত সেরা পদ্ধতিগুলো মূল্যায়ন ও গ্রহণ করার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, “উদীয়মান প্রযুক্তি, নতুন চ্যালেঞ্জ এবং পরিবর্তিত বৈশ্বিক পরিস্থিতি ইঙ্গিত দেয় যে, প্রশিক্ষণ কেবল একটি আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া নয়, বরং এটি বিকাশের একটি ধারাবাহিক চক্র হওয়া উচিত। দক্ষতা বৃদ্ধি, নৈতিকতা এবং আচরণগত উৎকর্ষতাকে প্রশিক্ষণের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে যুক্ত করা দরকার।”