ওয়াশিংটন, ০১ আগস্ট: ভারতের রাশিয়া থেকে তেল কেনা অব্যাহত রাখা দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি “বিরক্তির বিষয়” হয়ে দাঁড়িয়েছে। যদিও দুই দেশ কৌশলগত সম্পর্ক বজায় রেখেছে। এমনটাই বললেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের আমদানির উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক এবং অতিরিক্ত জরিমানা আরোপের একদিন পরই রুবিও এই মন্তব্য করেন। ট্রাম্প এই সিদ্ধান্তের কারণ হিসেবে ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার বাণিজ্যিক সম্পর্ক এবং উচ্চ শুল্ক ব্যবস্থাকে তুলে ধরেন।
ফক্স রেডিওকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রুবিও বলেন, “দেখুন, ভারত আমাদের মিত্র এবং কৌশলগত অংশীদার। তবে পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে সবসময় সব বিষয়ে একমত হওয়া সম্ভব নয়।”
তিনি আরও বলেন, “ভারতের বিশাল জ্বালানি চাহিদা রয়েছে, যার জন্য তাদের তেল, কয়লা এবং গ্যাস কেনা জরুরি। রাশিয়া থেকে তেল সস্তায় পাওয়া যায় কারণ আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার কারণে তারা অনেক সময় বিশ্ববাজারের চেয়ে কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য হয়। আর এটি দুর্ভাগ্যবশত, রাশিয়ার যুদ্ধ প্রচেষ্টাকে সাহায্য করছে। তাই এটি ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি বিরক্তির কারণ।”
রুবিও-র এই মন্তব্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শুল্ক ঘোষণার পরপরই এসেছে। ট্রাম্প বৃহস্পতিবার তার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ এই ঘোষণাটি করেন।
ট্রাম্প বলেছেন যে, শুক্রবার, ১ আগস্ট থেকে ভারতের আমদানির ওপর যুক্তরাষ্ট্র ২৫ শতাংশ শুল্ক এবং এর সঙ্গে অতিরিক্ত জরিমানাও আরোপ করবে।
নিজের পোস্টে ট্রাম্প লিখেছেন, “সবকিছু ভালো নয়! উপরোক্ত কারণগুলোর জন্য ১ আগস্ট থেকে ভারতকে ২৫% শুল্ক এবং অতিরিক্ত জরিমানা দিতে হবে। আপনাদের মনোযোগের জন্য ধন্যবাদ।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন যে, ভারত বিশ্বজুড়ে “সবচেয়ে কঠোর এবং আপত্তিকর অ-আর্থিক বাণিজ্য বাধা” তৈরি করে রেখেছে। তিনি যুক্তি দেন যে ভারতের শুল্ক বিশ্বের সর্বোচ্চগুলোর মধ্যে অন্যতম।
ট্রাম্প বলেন, “মনে রাখবেন, যদিও ভারত আমাদের বন্ধু, তবে বছরের পর বছর ধরে তাদের সঙ্গে আমাদের তুলনামূলকভাবে কম ব্যবসা হয়েছে, কারণ তাদের শুল্ক অনেক বেশি।”
তিনি আরও বলেন, “এমন একটি সময়ে যখন সবাই চায় রাশিয়া ইউক্রেনে হত্যাকাণ্ড বন্ধ করুক, তখন এসব বিষয় ভালো বার্তা দেয় না। ভারত সবসময় তার বেশিরভাগ সামরিক সরঞ্জাম রাশিয়া থেকে কিনেছে এবং চীনের পাশাপাশি রাশিয়ার জ্বালানির অন্যতম বৃহত্তম ক্রেতা।”

