নয়াদিল্লি, ৩০ জুলাই : কেরলের সন্ন্যাসিনীদের ছত্তিশগড়ে গ্রেফতারের ঘটনায় প্রবল ক্ষোভ প্রকাশ করে আজ বুধবার সংসদ ভবন চত্বরে প্রতিবাদে বসলেন ওয়ানাডের কংগ্রেস সাংসদ প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। একইসাথে ওয়ানাডে প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরও কেন্দ্রীয় ত্রাণ তহবিল বরাদ্দ না হওয়ায় কেন্দ্রীয় সরকারকেও তীব্র আক্রমণ করেন তিনি।
২৬ জুলাই ছত্তিশগড়ের পুলিশ কেরলের কয়েকজন সন্ন্যাসিনীকে মানব পাচার ও জোরপূর্বক ধর্মান্তরণের অভিযোগে গ্রেফতার করেছে। যদিও কেরল বিজেপি সভাপতি রাজীব চন্দ্রশেখর মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে জানান, এই গ্রেফতার এক প্রকার ভুল বোঝাবুঝির ফল। কোনও পাচার বা ধর্মান্তরণের ঘটনা ঘটেনি।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে প্রিয়াঙ্কা বলেন, কেরলের সন্ন্যাসিনীদের অত্যন্ত খারাপভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। তাঁদের এমন অপরাধে অভিযুক্ত করা হয়েছে যা তাঁরা করেননি। তাঁদের জোর করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমরা সংখ্যালঘুদের উপর এই ধরনের আক্রমণের প্রতিবাদ করছি। তিনি আরও বলেন, আমরা সংসদে এই ইস্যুটি ইতিমধ্যেই উত্থাপন করেছি এবং আজ আবার করব। এই ধরনের অন্যায়-অত্যাচার আমরা মেনে নেব না।
সরকারের থেকে কোনও পদক্ষেপের আশা করেন কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে প্রিয়াঙ্কার কটাক্ষ, সরকার কেবল নিজের প্রচার আর নির্বাচনের সময়ই সক্রিয় হয়। তাদের কাছ থেকে কোনো প্রকৃত পদক্ষেপের আশা করি না। কিন্তু আমাদের দায়িত্ব, আমরা মানুষের পক্ষে কথা বলব।
এদিকে কেরলে বিশেষ করে ওয়ানাড জেলায় ভয়াবহ বন্যা ও ধসের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় ত্রাণ তহবিল বরাদ্দ না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রিয়াঙ্কা। ২ জুলাই লোকসভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, ২০২৩-২৪ এবং ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে এখনও পর্যন্ত কেরলকে জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা তহবিল থেকে কোনও অর্থ দেওয়া হয়নি।
প্রিয়াঙ্কা জানান, এক বছর কেটে গেলেও দুর্গত মানুষরা আজও লড়াই করছেন। সেই সময়ের সহানুভূতি ও ত্রাণসামগ্রী সত্ত্বেও দুর্ভোগ কাটেনি। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে আরও বলেন, সবচেয়ে অবাক করা বিষয়, কেন্দ্র যে অর্থ পাঠিয়েছে, তা ঋণ হিসাবে পাঠানো হয়েছে। এটা নজিরবিহীন! বিপর্যয়ের পর মানুষের পাশে দাঁড়ানোর উদ্দেশ্য থাকলে এই ঋণ কেন? এটা কেন্দ্রের পক্ষে সামান্য টাকা। সরকারের উচিত সেই ঋণ মাফ করে দেওয়া।

