রাতের আঁধারে জলের পাম্প হাউসে চোরের থাবা, তদন্তে পুলিশ

আগরতলা, ২০ জুলাই: আবারে রাতের আঁধারে জলের পাম্প হাউসে চোরের থাবা। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। শনিবার গভীর রাতে গোলাঘাটি বিধানসভার অন্তর্গত কাঞ্চনমালা এসবি স্কুল সংলগ্ন জলের পাম্প হাউসে চোরের দল হানা দিয়ে বেশ কিছু যন্ত্রাংশ চুরি করে নিয়ে যায়। জানা গেছে অন্যান্য দিনের মতো শনিবারেও এলাকার পাম্প অপারেটর দীপক রায় পাম্প মেশিন বন্ধ করে দরজায় তালা লাগিয়ে বাড়িতে চলে যান। সেদিন গভীর রাতে ওই পাম্প হাউসে চোরের দল প্রথমে নেশা করে দরজার তালা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে মেশিনের সরকারি মূল্যবান তার সহ নতুন ভাবে বসানো জলের ফিল্টার করার দুটি মূল্যবান মেশিন খুলে নিয়ে যায়।

রবিবার সাত সকালে এলাকার স্থানীয় এক ব্যক্তি পাম্প হাউসের দরজা খোলা অবস্থায় দেখে সঙ্গে সঙ্গে অপারেটর দীপক রায়কে খবর দেয়। খবর পেয়ে অপারেটর দীপক রায় ঘটনা স্থলে দ্রুত ছুটে এসে দেখতে পায় পাম হাউসের দরজার পালা ভাঙ্গা অবস্থায় এবং দরজার খোলা রয়েছে। দীপক রায় পাম্প হাউসের ভেতরে প্রবেশ করতেই দেখতে পায় মেশিনের মূল্যবান তার সহ জলের ফিল্টার করা দুটি মূল্যবান মেশিন নেই, তখন ওই দীপক রায় বুঝতে পারেন যে এই পাম্প হাউসে শনিবার গভীর রাতে চোরের দল থাবা বসিয়েছে। সঙ্গে সঙ্গেই অপারেটর দীপক রায় বিষয়টি স্থানীয় কাঞ্চনমালা গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান রাজেশ দাস কে সহ বাধারঘাট স্থিত ডিডাব্লিউএস দপ্তরের আধিকারিকদের জানায়।

পরে কাঞ্চনমালা গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান রাজেশ দাস এই চুরির ঘটনাটি আমতলী থানার পুলিশকে জানায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আমতলী থানার পুলিশ সহ এলাকার পঞ্চায়েত প্রধান রাজেশ দাস ছুটে এসে এই চুরির ঘটনাটি প্রত্যক্ষ করে। এদিন সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে পঞ্চায়েত প্রধান রাজেশ দাস জানিয়েছেন প্রতিদিন সকলেরই পানীয় জলের প্রয়োজন হয়, প্রতিদিনই এই পাম্প হাউস থেকে জল পেয়ে স্থানীয় পশ্চিম কাঞ্চনমালা এলাকার মানুষ উপকৃত হচ্ছে, সেই জলের পাম্প হাউসে এই ধরনের চুরির ঘটনাটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক, তিনি আরো জানিয়েছেন এই পাম্প হাউসে হানা দিয়ে চোরের দল প্রায় ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকার মূল্যবান যন্ত্রাংশ চুরি করে নিয়ে যায়। যারা এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে তারা আইন এবং সমাজের চোখে অপরাধী। তাই কাঞ্চনমালা এলাকাবাসীদের পক্ষে পঞ্চায়েত প্রধান রাজেশ দাস এদিন পুলিশ প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে দাবি জানিয়েছেন পুলিশ যেন গোটা ঘটনাটি সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করে অভিযুক্তদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করে।