ধর্মনগর, ১৯ জুলাই : ধর্মনগর শহরে বিগত কয়েকদিন ধরে চুরির ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে চলেছে। ইতিমধ্যেই ধর্মনগরের হরিমন্দিরে চুরির ঘটনা ঘটেছে। পাশাপাশি, শহরের বেশ কয়েকজন বাজার ব্যবসায়ীর দোকানেও চোরেরা হানা দিয়ে নগদ অর্থ ও সামগ্রী লুট করেছে।
এই পরিস্থিতিতে বাজার কমিটি বিষয়টি ধর্মনগর আরক্ষা দপ্তরে জানানোর পর, থানার কর্মকর্তারা একাধিক অজুহাত দেন। প্রথমে তাঁরা জানান, তাঁদের কাছে গাড়ির অভাব রয়েছে, পরে বলেন পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ নেই। এরপর চমকপ্রদভাবে বলেন, বাজার কর্তৃপক্ষ যেন নিজেরাই চোর ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেন। এক পুলিশ আধিকারিক আবার জানান, চোর ধরলেও ‘উপর মহল’ থেকে ফোন আসে, যার কারণে বাধ্য হয়ে চোরকে ছেড়ে দিতে হয়।
এইসব মন্তব্য ও পুলিশের নিষ্ক্রিয় ভূমিকার প্রতিবাদে, আজ ধর্মনগরের হরিমন্দির প্রাঙ্গণে সমস্ত ব্যবসায়ীরা একত্রিত হয়ে ধর্মনগর থানার অফিসার ইনচার্জ , উত্তর জেলার পুলিশ সুপার ও জেলাশাসকের কাছে ডেপুটেশন জমা দেন।
বাজার কমিটির সভাপতি অমিয়াংশু শর্মা জানান, পুলিশের পক্ষ থেকে যে কথাগুলি বলা হয়েছে, তা অত্যন্ত দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং অগ্রহণযোগ্য। তিনি আরও জানান, সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়া চোরের ছবি পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এই চোর আরও ছয় থেকে সাতটি চুরির ঘটনায় জড়িত বলে সন্দেহ।
কমিটির পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, যদি অবিলম্বে পুলিশ ব্যবস্থা না নেয় এবং দোষীদের গ্রেপ্তার না করে, তাহলে বাজার কমিটি ধর্মঘটের ডাক দিতে বাধ্য হবে। এখন দেখার বিষয়, ধর্মনগর থানার পুলিশ কর্তৃপক্ষ সচল হয় কি না, নাকি আগের মতোই নিষ্ক্রিয় থেকে ‘ঠোঁটো জগন্নাথ’ হয়ে বসে থাকে।

